স্টাফ রিপোর্টার: আবারও সেরা তন্তুজ। দেশের মধ্যে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংস্থা তন্তুজ কোভিড পরিস্থিতিতেও অসাধারণ সাফল্যের জন্য মর্যাদাপূর্ণ স্কচ প্ল্যাটিনাম পুরস্কার পেল। মহামারী আবহে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিন কোটি মাস্ক তৈরি করেছে এই সংস্থা।
জানা গিয়েছে, ২৫ লক্ষ পিপিই এবং প্রায় তিন লক্ষ এন৯৫ মাস্ক তৈরি করেছে রাজ্যের অধীনস্থ এই সংস্থা। শুধু তাই নয়, এই সব সামগ্রী তৈরিতে কাজে লাগানো হয়েছিল রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ইউনিটের পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে। সেই কারণেই স্কচের সর্বোচ্চ প্ল্যাটিনাম অ্যাওয়ার্ড (Scotch Platinum Award) দেওয়া হয়েছে। শনিবারই এই পুরস্কারের ব্যাপারে বিশদ জানতে পেরেছে নবান্ন। স্বাভাবিকভাবেই করোনার মতো অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে এমন সাফল্য উৎসাহ জোগাবে বলে মনে করছেন দপ্তরের আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)করোনা আবহের একদম প্রথম দিকে যে সময় মাস্ক তৈরির দরকার হয়ে পড়েছিল, সেই সময় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে এ ব্যাপারে কাজে লাগাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর নির্দেশের পরই তৈরি হয় নানা দল। কীভাবে গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যদের বা ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প ইউনিটগুলিকে কাজে লাগানো হবে তা নিয়ে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে নবান্ন। ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল দায়িত্বও। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সাধারণ মানুষকে নিখরচায় মাস্ক ও পিপিই তুলে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিল তন্তুজ।
[আরও পড়ুন: বিয়েবাড়িতে প্রচণ্ড শব্দে ডিজে বাজিয়ে উদ্দাম নাচ, বাধা দিয়ে আক্রান্ত পুলিশ, রণক্ষেত্র শ্রীরামপুর]
এই সবেরই ফল পেল ওই সংস্থা, এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকরাও। তাঁরাও বস্তুত দ্রুত মাস্ক জোগানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও নবান্নে দরবার করেছিলেন। বাংলা অনেক উদ্ভাবনী প্রকল্পের জন্য সেরার পুরস্কার লাভ করেছে আগে। কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী থেকে শুরু করে সবুজসাথী রয়েছে। স্কচ-এর ক্ষেত্রে প্ল্যাটিনাম অ্যাওয়ার্ড সেরা হিসাবে গণ্য হয়।