সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ঝালদার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু (Tapan Kandu Murder Case) হত্যাকাণ্ডের কিনারায় এবার ‘ক্রাইম ম্যাপ’ তৈরি করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের স্কেচ এক্সপার্টরা পেনসিল দিয়ে এঁকে ম্যাপ বানিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের তদন্তে যার বড়সড় গুরুত্ব আছে বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। অন্যদিকে, তদন্তের অংশ হিসেবে শনিবার অভিযুক্তদের একাধিক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই (CBI)।
পুরুলিায় (Purulia) তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে তদন্তভার হাতে পেয়েই তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। এবার তারই অংশ হিসেবে ‘ক্রাইম ম্যাপ’ তৈরি করা হল। কী এই ‘ক্রাইম ম্যাপ’? সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া রাঁচি সড়কের ছবি এঁকে তার পাশ জুড়ে বিভিন্ন পয়েন্ট করা রয়েছে। প্রথম পয়েন্টটি রয়েছে ঝালদা শহরের বিরসা মোড়। এই মোড় থেকে ঝালদা-বাঘমুন্ডি সড়কপথ। সেইসঙ্গে ঝালদা নতুন থানা, পুরনো থানা, ঝালদা পুর শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর বাড়ি। এছাড়া এই ঘটনায় ধৃত সত্যবান প্রামাণিক, নরেন কান্দুর বাড়ি – ওই ম্যাপে স্কেচ করে তুলে ধরা হয়েছে সব। ম্যাপে উল্লেখযোগ্য স্থান হিসেবে দেখানো হয়েছে খুনের ঘটনার দিন, ১৩ মার্চ, ঝালদা (Jhalda)থানার পুলিশের টহলদারি ভ্যানের জায়গাটি। সেইসঙ্গে খুনের ঘটনাস্থলটি।
[আরও পড়ুন: গুটখা ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়ে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা, গুনতেই লেগে গেল ১৮ ঘণ্টা]
ম্যাপে রয়েছে ঝালদার কুটিডিতে ধৃত আসিকের বাড়ি। রয়েছে ধৃত কলেবরের মামাতো দিদি সুনয়না সিংয়ের পুস্তির গ্রামের বাড়ি। রয়েছে ইলু গ্রামে মদের দোকানও। যেখানে কলেবর ও তাঁর সঙ্গী দিদির বাড়ি থেকে আসার পর এই মদের দোকানে মদ খেয়ে খুনের ঘটনার অপারেশনে যুক্ত হয়। ম্যাপে এই পয়েন্টগুলো করে একটা স্থল থেকে আরেকটা স্থলের দূরত্ব লেখা রয়েছে। আততায়ীরা কীভাবে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় এসে এই অপরাধ সম্পন্ন করেছে, তদন্তে তা খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ড: তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেপ্তারি, জালে সোহেলের বন্ধু]
এছাড়া খুনের ঘটনায় যে মোটা টাকা লেনদেন হয়েছিল, তা বিশদে জানতে ধৃত সত্যবানের বাড়িতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মীদের নিয়ে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। নরেন কান্দুর বাড়িতে ব্যাংক কর্মীদের নিয়ে গিয়েও এদিন দিনভর জেরা চলে। তার বাড়ি থেকে কিছু জমির দলিলপত্র বাজেয়াপ্ত হয়। এদিন সত্যবানের হোটেলে গিয়েও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। পাশাপাশি নরেন কান্দুর বাড়ি থেকে কিছু পাস বই, প্যান কার্ড ও আধার কার্ড বাজেয়াপ্ত করে ওই তদন্তকারী দল। ধৃত আসিক খান যে ‘ভাড়াটে খুনি’কে তার মোপেড করে বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল। সেই মোপেডকে বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই। শনিবার সিবিআইয়ের একটি দল ধৃত আসিকের গ্রামের বাড়ি কুটিডি গিয়ে তালা ভেঙে ওই মোপেড বাজেয়াপ্ত করে।