অর্ণব আইচ: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জারি গ্রেপ্তারি। এবার সিবিআইয়ের জালে তাপস মণ্ডল এবং নীলাদ্রি ঘোষ নামে দুই এজেন্ট। নিজাম প্যালেসে বেশ কিছুক্ষণ জেরার পর গ্রেপ্তার করা হয় দু’জনকে। তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। আপাতত দু’জনকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারির পরেও নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেন তাপস। তার দাবি, “তদন্তে সহযোগিতার পরেও কেন গ্রেপ্তার করা হল জানি না।”
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তারির পর সামনে আসে তাপস মণ্ডলের নাম। তারপর থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে তাপস। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। সরাসরি তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। ইডি’র চার্জশিটেও ছিল মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের নাম। কুন্তল এবং তাপসকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে আরও নানা তথ্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সে কারণে সিবিআই রবিবার তাপসকে দীর্ঘক্ষণ জেরার পর গ্রেপ্তার করে। তাপসকে জেরা করে সামনে আসে নীলাদ্রি ঘোষের নাম। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দিল্লি টেস্টে ব্যর্থতার পরেই দল থেকে বাদ পড়তে পারেন রাহুল, নেটদুনিয়ায় মিমের বন্যা]
তাপস মণ্ডল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাঠোর রোডের দেবীপুরের বাসিন্দা। প্রায় বছর কুড়ি ধরে ওই এলাকায় রয়েছেন। এই বাড়িতে থাকতেন স্ত্রী, দুই ছেলে ও পুত্রবধূ। ২০১১ সালের পর এই বাড়ির অদূরেই কামাখ্যা বালক আশ্রমের পাশে জমি কিনে আরেকটি দোতলা বাড়ি তৈরি করেন তাপস। এলাকাবাসীর সঙ্গে তাপস মণ্ডলের পরিবারের খুব একটা মেলামেশা ছিল না। ইদানীং তাপস নিয়মিত বাড়িতেও থাকতেন না। ইতিমধ্যেই তাপসের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। তাপসের পাশাপাশি তার পুত্রবধূকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকরা। এবার তাপস ও নীলাদ্রিকে জেরা করে আর কার কার নাম সামনে আসে সেটাই এখন দেখার।