shono
Advertisement

তারাপীঠ, শান্তিনিকেতনে হোটেল খোলার অনুমতি দিল প্রশাসন, স্বস্তিতে ব্যবসায়ীরা

হোটেল বন্ধ থাকায় পর্যটন মরশুমে চরম দুর্ভোগে পড়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।
Posted: 09:35 PM Jan 16, 2022Updated: 09:40 PM Jan 16, 2022

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বীরভূম জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ২৫ শতাংশ আবাসিক নিয়ে হোটেল খোলার অনুমতি দিল জেলা প্রশাসন। যার জেরে খুশি তারাপীঠ (Tarapith), বোলপুর-সহ জেলার পর্যটন কেন্দ্রের হোটেল ব্যবসায়ীরা। হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে রবিবার থেকেই হোটেলে বুকিং শুরু করে দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, “মূলত শান্তিনিকেতন ও তারাপীঠকে কেন্দ্র করেই পর্যটকদের ভিড় থাকে। তাই রাজ্যের নির্দেশিকার উপর নজরদারি রেখে আমরাও হোটেলে ২৫ শতাংশ যাত্রী নিয়ে খোলার ছাড়পত্র দিলাম।”

Advertisement

গত ৮ জানুয়ারি থেকে শান্তিনিকেতন ও তারাপীঠের সব হোটেল বন্ধের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ অনলাইনে বুকিং বাতিল করে হোটেলে এসে বুকিং করার অনুমতি দেয়। কিন্তু জেলার ক্রমবর্ধমান করোনা (Coronavirus) রোগীর কথা চিন্তা করে তাও বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন। ফলে পর্যটন মরশুমে জেলা জুড়ে চরম দুর্ভোগে পড়ে হোটেল ব্যবসায়ীরা। কারণ গত দু’বছর ধরে বিদ্যুতের বিল মিটিয়ে, হোটেল কর্মীদের বেতন দিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রায় নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন।

[আরও পড়ুন: সাধারণতন্ত্র দিবসে বাদ বাংলার ট্যাবলো: সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা হোক, মোদিকে চিঠি মমতার]

ফলে রবিবারের সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও খুশি হোটেল ব্যবসায়ীরা। তারাপীঠের তৃণমূলের হোটেল ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের সম্পাদক সুনীল গিরি জানান, তারাপীঠে ছোট বড় প্রায় সাড়ে তিনশো হোটেল লজ আছে। এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও তাদের প্রাণ ফিরে এল। তাঁর বক্তব্য, প্রতিটি মালিককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোভিডবিধি মেনে, ডবল টিকার সার্টিফিকেট দেখে তবেই যেন হোটেলে থাকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

বোলপুর শান্তিনিকেতন হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রসেনজিৎ চৌধুরী বলেন, “বিয়ে বাড়িতে যখন নিয়ম শিথিল করা হয়েছে, তখন আমাদের ছাড় দেওয়া হোক বলে আমরা জেলাশাসককে বারবার আবেদন করেছিলাম। বন্ধ লজ, হোটেল খোলায় আমরা খুশি।”

উল্লেখ্য, শান্তিনিকেতন এলাকায় প্রায় দেড়শো লজ, হোটেল, রিসর্ট আছে। তাতে আগামী ৩১ জানুয়ারির পর থেকে আরও ছাড়ের দাবি প্রসেনজিতবাবুরা জানাবেন বলে জানান। এই দুই পর্যটন কেন্দ্র ছাড়া বক্রেশ্বরে কোনও দিনই বিধি নিষেধের ঘেরাটোপ ছিল না বলে জানান হোটেল ব্যবসায়ীরা। হোটেল মালিক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “আমাদের হোটেল নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও দিন চাপ দেওয়া হয়নি। কারণ এবার শীতে বক্রেশ্বরে যাত্রী তেমন ছিল না।”

[আরও পড়ুন: এ কেমন পেশা! শুধু লাইনে দাঁড়িয়েই দিনে ১৬ হাজার টাকা আয় যুবকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার