স্টাফ রিপোর্টার: ফের শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষদের তুলোধনা করলেন তথাগত রায়। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সোমবার মধ্যরাতে পরপর কয়েকটি টুইট করে শুভেন্দু-দিলীপদের পরামর্শ দিয়েছেন, আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল কেন দল ছাড়লেন তা অনুসন্ধান করতে এবং সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে। বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পর তথাগত অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতারা কামিনী-কাঞ্চনের মোহে পড়ে দলের ভরাডুবি ডেকে এনেছেন। এবারও তাঁর টুইটে মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল কামিনী-কাঞ্চনের প্রসঙ্গ টেনেছেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য দলের নেতৃত্ব কিছু ধান্দাবাজ এবং অর্ধশিক্ষিত নির্বোধের হাতে গিয়েছে। দলবদলু ধান্দাবাজদের হাতে দলের নেতৃত্ব থাকলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপি অচিরে মুছে যাবে বলেও তথাগত তাঁর টুইটে উল্লেখ করেছেন।
তথাগতর এই টুইটের পর স্বাভাবিকভাবে রাজনৈতিকমহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরোধীরা তথাগতর টুইটে উৎফুল্ল। এর আগে তথাগত তাঁর টুইটে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও দলের প্রাক্তন পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সরাসরি ইঙ্গিত করে আক্রমণ করেছিলেন। এবার দিলীপ ও কৈলাশের সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও তিনি নিশানা করেছেন।
[আরও পড়ুন: স্বস্তিতে অনুব্রত মণ্ডল, দিল্লি হাই কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ইডি মামলার শুনানি]
তথাগত তাঁর একটি টুইটে লিখেছেন, “২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে প্রবল হাওয়া থাকা সত্ত্বেও বিজেপি হারল। তার কারণ বিজেপির স্থানীয় সর্বাধিনায়ক অভিনেত্রীদের নিয়ে লুটোপুটি খাচ্ছিলেন, আর তাঁর প্রধান ধামাধরা ‘মেরে দেব, পুঁতে দেব, মৃতদেহের লাইন লাগিয়ে দেব’ বলে বক্তৃতা করে বেড়াচ্ছিলেন।” কৈলাস ও দিলীপকে এইভাবে ইঙ্গিত করে আরও আক্রমণাত্মক তথাগত আরেকটি টুইট করে লেখেন, “বলা হচ্ছিল ‘১৯-এ হাফ, ২১-এ সাফ’, সেখানে মাত্র ৭৭টা (এখন ৬৯টা) আসন পাওয়া গেল। তখন পুঁতে দেওয়ার মাস্টার বলে বেড়াতে লাগল ‘৩-এর থেকে ৭৭ করেছি, নাকের বদলে নরুন পেলাম, টাকডুমাডুম’!”
শুভেন্দুকে ইঙ্গিত করে তথাগত অন্য একটি টুইটে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। তথাগত লিখেছেন, “সুমন কাঞ্জিলালের দলত্যাগ থেকে দল যেন শিক্ষা নেয়। নীতি-আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে অর্ধশিক্ষিত নির্বোধ অথবা তৃণমূল-সিপিএম থেকে আসা ধান্দাবাজ লোকেদের উপর পার্টি চালাবার দায়িত্ব দিলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে পার্টি মুছে যাবে।” তথাগতর এই টুইট আক্রমণের পর প্রবল অস্বস্তিতে দিলীপ ও শুভেন্দুশিবির। এই দুই শিবিরের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরোধীরা তথাগতর এই আক্রমণে খুশি গোপন রাখছেন না।