সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাওয়াং সংঘর্ষের (Tawang Clash) পরেই চিন সীমান্তে জোরদার মহড়া শুরু করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। একাধিক বায়ুসেনাকে ঘাঁটিতে সতর্কতা জারি করা হয়। সুখোই, রাফালের মতো যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয় চিন সীমান্তে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মহড়ার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় বায়ুসেনা। তাওয়াং এলাকা থেকে পর্যটকদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার বায়ুসেনার তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, এই মহড়ার সঙ্গে তাওয়াং সংঘর্ষের কোনও যোগ নেই। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার উত্তর-পূর্ব সীমান্তে মহড়া দেবে বায়ুসেনা।
বায়ুসেনার তরফে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মহড়া চালানো হবে। তবে এই মহড়ার সঙ্গে তাওয়াং সংঘর্ষের সম্পর্ক নেই। আগে থেকেই এই মহড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, তাওয়াংয়ের ঘটনার পরেই জানা গিয়েছিল, বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতের সীমানায় চিনা যুদ্ধবিমানের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। আক্রমণের আশঙ্কা থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LaC) সংলগ্ন এলাকায় একাধিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে ভারতীয় বায়ুসেনা। লালফৌজকে বিভ্রান্ত করতে মহড়ার ধরনেও নানা রকমের বদল আনা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘মদ খেলে মরবেই’, বিহারে বিষমদ কাণ্ডে ‘ক্ষতিপূরণে’র সম্ভাবনা উড়িয়ে মন্তব্য নীতীশের]
শুধু সীমান্তে মহড়াই নয়, অসমের তেজপুর, ছাবুয়ায় সুখোই-৩০ বিমান মোতায়েন করা হয়। গোটা অসম সীমান্তেই মোতায়েন S-400। ২০২১ সালে ফ্রান্স থেকে ভারতে আসা রাফালে বিমানের মধ্যে দ্বিতীয় স্কোয়াড্রনটি রাখার কথা ছিল উত্তরবঙ্গের হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনিতে (Hasimara Air Base)। ভারত-চিনের মধ্যে এই সীমান্ত বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে সেখানে রয়েছে ২টি রাফালে বিমান। তাদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
তাওয়াং হামলায় ভারতীয় সেনার কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে সংসদে বিবৃতি দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। চিনা আক্রমণ নিয়ে খোলাখুলি ভাবে কোনও ইঙ্গিত না দিলেও তৎপরতা বাড়ে তিন বাহিনীর অন্দরে। চিনের হামলার খবর পেয়েই সেনার তিন প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Sing)। এই হামলার পালটা কড়া জবাব কীভাবে দিতে হবে, সেই স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও সেই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গেও বৈঠক করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এহেন পরিস্থিতিতে বায়ুসেনার ঘোষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।