সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে নয়। উপযুক্ত অভিযোগ পেয়েই হানা দেওয়া হয়েছিল দৈনিক ভাস্কর নামের হিন্দি সংবাদপত্রের অফিসে। অন্তত তেমনটাই দাবি করছে আয়কর বিভাগ। তাঁদের দাবি, গত ছ’বছরে ৭০০ কোটি টাকা রোজগারের কর ফাঁকি দিয়েছে Dainik Bhaskar কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, তাঁদের বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু গরমিলের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার বহুল প্রচারিত ওই হিন্দি দৈনিক সংবাদপত্রের অফিসে আয়কর হানার ঘটনায় রীতিমতো সরগরম হয়ে ওঠে দিল্লির রাজনীতি। আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে সেদিন দৈনিক ভাস্করের অন্তত ৩০-৩৫টি ঠিকানায় হানা দিয়েছিলেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। দিল্লির পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রেও ভাস্করের বিভিন্ন অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল এর পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় BJP সরকারের সমালোচনায় সরব হওয়ার জেরেই সরকারের রোষানলে পড়তে হয়েছে ভাস্করকে।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় আকর্ষণ বাড়ছে অনুব্রত মণ্ডলের, প্রচারে গতি আনতে Mamata’র দ্বারস্থ স্থানীয় নেতৃত্ব]
এ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সুর চড়িয়েছিলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ ছিল, “যারা সত্যি বলে, তাঁদের দমিয়ে রাখার এই চেষ্টার আমি তীব্র প্রতিবাদ করি। এটা গণতন্ত্রের মূল ভাবনার বিরোধী। সংবাদমাধ্যম এবং সংবাদকর্মীদের উপর হামলা গণতন্ত্রকে দমন করার আরও এক পন্থা। নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) কীভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ব্যর্থ হয়েছেন, দৈনিক ভাস্কর সাহসিকতার সঙ্গে সেই সত্যিটা তুলে ধরেছিল।”
[আরও পড়ুন: নজরে সংসদ অধিবেশন, দিল্লিতে গিয়েই দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করবেন Mamata]
শনিবার আয়কর বিভাগ দাবি করল, রাজনৈতিক অভিসন্ধিতে আয়কর হানার যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল তা ভুল। গত ছ’বছরে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা রোজগারের কর বিভিন্ন উপায়ে ফাঁকি দিয়ে এসেছে দৈনিক ভাস্কর। শুধু তাই নয়, স্টক মার্কেটের নিয়মে কারচুপি, অন্য সংস্থার মাধ্যমে লাভের অঙ্ক সরিয়ে ফেলার মতো তথ্যও প্রকাশ্যে এসেছে। আয়কর বিভাগের (IT department) দাবি, দৈনিক ভাস্করের বেশ কিছু কর্মী আছেন, যাদের নামে ভুয়ো সংস্থা খুলে, সেই সংস্থাগুলির মাধ্যমে লাভের টাকা সরিয়ে ফেলা হত। অথচ, সেইসব কর্মীরা নিজেরাই স্বীকার করেছেন, এই ধরনের সংস্থার কথা তাঁরা জানেন না। আপাতত আন্দাজ করা হচ্ছে সব মিলিয়ে ৭০০ কোটির কর ফাঁকি দিয়েছে তাঁরা। তবে, সেই টাকার অঙ্ক আরও বাড়তে পারে।