রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: মালিকানা হস্তান্তর নিয়ে আইনি জটিলতা। আদালতের রায় অমান্য করায় আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কোহিনূর চা বাগানের স্বঘোষিত মালিক ওমপ্রকাশ আগরয়ালকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। গ্রেপ্তারির খবর চাউড় হতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। থানা ঘেরাও, ভাঙচুরের ঘটনায় রবিবার সন্ধেয় কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল গোটা এলাকা। পালটা পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ শূন্যে গুলি চালায় এবং লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ। থানা ভাঙচুর এবং ঘেরাওয়ের ঘটনায় কারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, বর্তমানে আদালতের রায়ে কোহিনূর চা বাগানের মালিকানা ওমপ্রকাশ আগরওয়ালার পরিবর্তে জনৈক কেশব সিনহাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।কিন্তু কেশব সিনহাকে চা বাগানের অধিকার ছাড়তে নারাজ ওমপ্রকাশ। আদালতের রায় ঘোষণার পরও তিনি চা বাগানের মালিকানা ছাড়েননি। এই অভিযোগে রবিবার বিকেলের পর ওমপ্রকাশ আগরওয়ালকে গ্রেপ্তার করে শামুকতলা থানার পুলিশ। খবর চাউর হতেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কোহিনূর চা বাগান। অভিযোগ, কোহিনূর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধানের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর উত্তেজিত শ্রমিকরা শামুকতলা থানা ঘেরাও করে। চলে তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন।পরিস্থিতি সামাল দিতে সংশ্লিষ্ট থানায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
[আরও পড়ুন: কুসংস্কার! ২ দিনের ব্যবধানে দেগঙ্গায় ফের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু সাপের ছোবল খাওয়া যুবকের]
রাতেই কুমারগ্রাম থানা ঘেরাও শ্রমিকদের। থানা ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে। বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, পুলিশের তরফে শূন্যে গুলি চালানো হয়। ফাটানো হয় কাদানে গ্যাসের শেলও। যদিও এই ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি জেলার পুলিশ কর্তারা। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালেও এলাকায় এবং থানা চত্বরে চাপা উত্তেজনা রয়েছে।