দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: হুগলির ব্যান্ডেলে প্রাক্তন অধ্যাপিকার রহস্যমৃত্যু। বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ডাকাতির উদ্দেশ্যেই খুন করা হয়েছে ষাটোর্ধ্ব ওই প্রৌঢ়াকে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে চুঁচুড়া থানার পুলিশ।
[মমতাকে সাম্মানিক ডিলিট দেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সুলেখা মুখোপাধ্যায়। পেশায় অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করতেন সুলেখাদেবী। ব্যান্ডেলের কাজিডাঙা এলাকায় দোতলা বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। পাড়ায়ও খুব একটা মিশতেন না। বৃহস্পতিবার সকালে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও সুলেখাদেবীর সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেন বাড়ির কাজের লোক। পড়শিরাও দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করেন। কিন্তু সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপরই চুঁচুড়া থানায় খবর দেওয়া হয়। বাড়ির দরজা ভেঙে দোতলার শোয়ার ঘর থেকে সুলেখা মুখোপাধ্যায়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, শোওয়ার ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল সুলেখাদেবীর দেবীর দেহ। গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
[বেআইনি পোস্ত চাষ রুখতে এবার ড্রোনের নজরদারি প্রশাসনের]
কিন্তু, কীভাবে মৃত্যু হল ষাটোর্ধ্ব ওই প্রৌঢ়ার? প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, রাতে ডাকাতি করতে এসে সুলেখাদেবীকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, শোওয়ার ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। তবে তিন তলার ছাদের একটি ঘরের দরজা খোলা ছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, তিনতলার ছাদ দিয়ে বাড়িতে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রন্ততাত্ত্বিক গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অবসপ্রাপ্ত এই অধ্যাপিকা। তাঁর বাড়ির আলমারিতে বেশ কয়েকটি অ্যান্টিক পদার্থ বা দুর্লভ বস্তু ছিল। কারও কারও ধারণা ওই দুর্লভ বস্তু হাতাতেই অপারেশন চালায় দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গিয়ে মৃত্যু হয় সুলেখাদেবীর। বাড়ি থেকে কিছু খোয়া গিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এটা খুন বলেই একপ্রকার নিশ্চিত পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলতে চাইছে না তারা। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে শুরু হয়েছে তদন্ত।
[১০০ টাকায় পদ্মার ইলিশ! মালদহ জুড়ে মহাভোজ]
The post প্রাক্তন অধ্যাপিকার রহস্যমৃত্যু, দুর্লভ বস্তু হাতাতেই কি খুন? appeared first on Sangbad Pratidin.