অর্ণব আইচ: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বছরখানেক জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজেকে বার বার নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তবে শনিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আড়ালে বসে গোটা দুর্নীতিতে মদত জুগিয়েছেন পার্থই, দাবি সিবিআইয়ের।
শনিবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভারচুয়ালি আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। এদিন তাঁর জামিনের শুনানি ছিল। তাতেই সিবিআই জানায়, “কাকে নিয়োগ করা হবে আর কাকে বাদ দেওয়া হবে গোটাই ছিল পরিকল্পনা। যাঁরা সঙ্গ দিতেন না তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হত। বাড়িতে বৈঠক করে পদত্যাগ পর্যন্ত করানো হয়েছিল। দুর্নীতিতে পুরোপুরি যুক্ত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অপরাধ এমনভাবে করতেন যাতে ‘পিকচারে’ না থাকেন।”
[আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রামে আলাপ, তরুণীর খাবারে মাদক মিশিয়ে গণধর্ষণ ‘বন্ধু’র!]
সিবিআইয়ের আরও দাবি, “শিক্ষা এমন একটা জায়গা যা সমাজ তৈরি করে। একজন চিকিৎসক কোনও একটা ভুল করলে একজন রোগীর ক্ষতি হয়। কিন্তু এরা যে ধরনের অযোগ্য শিক্ষক এনেছে, তাতে সমাজ কোন দিকে যাবে তা ঠিক নেই ভবিষ্যতে। পরিস্থিতি কখনও মিথ্যে কথা বলে না। পরিস্থিতি দেখাচ্ছে বর্তমান ছবি।”
পার্থের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী অবশ্য সিবিআইয়ের অভিযোগ খারিজ করেছে। তাঁর দাবি, পার্থ যাঁদের সরিয়েছেন বলে সিবিআই দাবি করছে পরে তাঁদেরই বাগ কমিটির রিপোর্টে বা খোদ সিবিআইয়ের চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের দ্বিতীয় চার্জশিটেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম ছিল না। সিবিআই এসএসসির এক মহিলা চেয়ারম্যানকে দেখিয়েছে পার্থ বকাবকি করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। কেন বকাবকি, সেই কারণও দেখানো হয়নি।’’ শেষপর্যন্ত পার্থ জামিন পান কিনা, সেটাই দেখার।