গোবিন্দ রায়: নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের খুবই ঘনিষ্ঠতা ছিল। তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং ফোন কলের মাধ্যমে এই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের জামিন মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে সেই তথ্য তুলে ধরল ইডি (ED)। শুধু এই দুজনই নয়, এদের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও (Partha Chatterjee) আর্থিক দুর্নীতির সরাসরি যোগ মিলেছে বলেও বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে দাবি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি আধিকারিকদের সাফ বক্তব্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক-পার্থ-সুজয়কৃষ্ণ সব একসূত্রে বাঁধা।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Teacher Recruitment Scam) দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। সোমবার ছিল তাঁর জামিন মামলার শুনানি। আগের দিনের মতো এদিনও ফের তাঁকে নিজের সেলে বসে কাঁদতে দেখা যায়। চোখের জল মুছতে মুছতে মানিকবাবু বলেন, "আমার ছোট ভাই, আমার পুত্রসম, সে আমার বিরুদ্ধে স্টেটমেন্ট দিয়েছে!" একথা বলতে বলতেই ফের কেঁদে ফেলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি মামলায় ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতা-সহ ১০ জায়গায় তল্লাশি]
সোমবারও হাই কোর্টে (Calcutta HC) মানিক ভট্টাচার্যর জামিনের বিরোধিতা করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, "পার্থ-মানিক-সুজয় দুর্নীতির একই সুতোয় গাঁথা। এ ধরনের আর্থিক অপরাধ বা দুর্নীতি সমাজের বিভিন্ন স্তরে গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।" অনুব্রত মণ্ডল, গৌতম কুণ্ডুর আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার উল্লেখ করে এডুলজি ওই আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে এই দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ও মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে 'ইন্টারলিঙ্ক' অর্থাৎ ভিতরে ভিতরে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলেও জানান। ৫ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি।