সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দায়িত্ব পড়েছিল ভোটের ডিউটির। কিন্তু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের প্রশিক্ষণই নিতে গেলেন না এক স্কুল শিক্ষক। ব্যাপারটা কী? কারণটা প্রায় অবিশ্বাস্য। ওই ভদ্রলোক জানিয়েছেন, বিয়ের পিঁড়িতে বসাই এই মুহূর্তে তাঁর জীবনের প্রধান লক্ষ্য। সেই কর্ম সারা না পর্যন্ত অন্য কিছু করতে তিনি রাজি নন।
মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বাসিন্দা ওই শিক্ষকের নাম অখিলেশকুমার মিশ্র। ভোপালের কাছাকাছি অবস্থিত সাতনা জেলার একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংস্কৃত পড়ান তিনি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তাঁকে ভোটের ডিউটি দেওয়া হয়েছিল। যার জন্য গত ১৬ ও ১৭ অক্টোবর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু তিনি প্রশিক্ষণ এড়িয়ে যান। তার পরই অখিলেশের কাছে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়। জানতে চাওয়া হয় দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ কাজে অনুপস্থিতির কারণে তাঁকে বরখাস্ত করা হলে তিনি নিজের সপক্ষে কী ব্যাখ্যা দেবেন।
[আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানিকে খুনের হুমকি! তেলেঙ্গানা থেকে গ্রেপ্তার ১৯ বছরের তরুণ]
সরকারের পাঠানো নোটিসের উত্তরে নিজের একাকী জীবনের দুঃখের কথা তুলে ধরেন এই শিক্ষক। তিনি লেখেন, “আমার গোটা জীবনটাই স্ত্রী ছাড়া কেটে যাচ্ছে। আমার সমস্ত রাত বৃথা চলে যাচ্ছে। আগে আমাকে বিয়ে করতে দিন।” অখিলেশ তাঁর চিঠিতে আরও দাবি জানান, তাঁর নাকি সাড়ে তিন লাখ টাকা পণ চাই। সেই সঙ্গে ফ্ল্যাট কেনার জন্য ঋণও চাই। তিনি বলেন, “আমি কী করব? আমার বলার কিছু নেই। আপনারা জ্ঞানের সাগর।” স্বাভাবিক ভাবেই অখিলেশের এই জবাবে বেজায় চটেছে জেলা প্রশাসন। সাতনা জেলাশাসক অনুরাগ ভার্মা ২ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁকে বরখাস্ত করেছেন।
ওই স্কুল শিক্ষকের এক সহকর্মী জানিয়েছেন, “গত কয়েক বছর ধরেই উনি অবসাদে ভুগছেন। নয়তো নিজের শোকজ নোটিসের জবাবে এই ধরনের উত্তর দেন?” জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগেই নাকি মোবাইল ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছেন অখিলেশ। ফলে এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।