shono
Advertisement

প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার সম্পর্কের টানাপোড়েন, স্কুলের মধ্যেই হাতাহাতি, উত্তপ্ত বনগাঁ

ওই শিক্ষিকা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও দাবি তাঁর স্বামীর।
Posted: 05:22 PM Jan 09, 2021Updated: 05:22 PM Jan 09, 2021

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: স্কুলের শিক্ষিকাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করছিলেন প্রধান শিক্ষক। উভয়ের মধ্যে একটা সম্পর্কও তৈরি হয়েছিল সম্প্রতি। তবে তা কখনওই খুব একটা মসৃণ ছিল না। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বনগাঁর (Bongaon) উত্তর কালুপুর আনন্দ সংঘ প্রাইমারি স্কুলের অভিভাবকদের চোখে পড়ল নজিরবিহীন দৃশ্য। স্কুলের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছে দুই শিক্ষক, শিক্ষিকা। তাঁদের স্কুলে আটকে রেখেই পুলিশে খবর দেন অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ তাঁদের আটক করেছে।

Advertisement

শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানা এলাকার উত্তর কালুপুর আনন্দ সংঘ প্রাইমারি স্কুলে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম অক্ষয় কুমার বিশ্বাস। শিক্ষিকা ইতিকাবালা বাইন। আচমকাই উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষিকাকে ব্যাপক মারধর করছিলেন।

[আরও পড়ুন: ‘জেপি নাড্ডা জোকার’, বঙ্গ সফরের মধ্যেই বিজেপি সভাপতিকে বেনজির কটাক্ষ সৌগতর]

খবর পেয়ে স্কুলে ছুটি আসেন শিক্ষিকা ইতিকাবালার স্বামী শ্রীবাস বাইন। তিনি অভিযোগের সুরে জানান, ”প্রধান শিক্ষক আমার স্ত্রীকে দীর্ঘদিন উত্যক্ত করছেনআমরা থানায় অভিযোগ জানিয়ে ছিলাম। তারপরেও প্রধান শিক্ষক আমার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়ে চাপ সৃষ্টি করতেন। এর জন্য আমার স্ত্রী আত্মহত্যাও করতে গিয়েছিল। আজ আমার স্ত্রীকে স্কুলের মধ্যে উত্যক্ত করে মারধর শুরু করেন প্রধান শিক্ষক।” অভিযোগ অবশ্য সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক।

[আরও পড়ুন: দলে ফিরেও ‘ব্রাত্য’? জিতেন্দ্রকে উপেক্ষা করেই আসানসোলে নতুন পুর প্রশাসক বসাল রাজ্য]

স্থানীয়রা জানিয়েছে, আনন্দ সংঘ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতাধিক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। অভিযুক্ত শিক্ষিকা প্রায় ১০ বছর ধরে স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। বছর তিনেক আগে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক স্কুলে যোগদান করেছেন৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই শিক্ষক-শিক্ষিকা মাঝেমধ্যেই স্কুলে এভাবে মারামারি করেন৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ওই শিক্ষিকার সম্পর্কও রয়েছে।

শনিবারও এমনই অশান্তি চলছিল। প্রধান শিক্ষকের হাতে শিক্ষিকাকে মার খেতে দেখে তাঁরা উভয়কে স্কুলে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। অভিভাবকদের প্রশ্ন, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাই যদি এভাবে স্কুলের ভিতরে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন, তাহলে ছোট ছোট পড়ুয়ারা কী শিখবে?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement