সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঞ্চ বদলেছে, মাঠ বদলেছে, কিন্তু পরিস্থিতি কিছু বদলায়নি। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজের কথা হচ্ছে। সিরিজের প্রথম দু’টো ম্যাচে হারের পর বিশাখাপত্তনমে জিতে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে ভারত। সিরিজ এখন দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ২-১। আজ রাজকোটে চতুর্থ টি-২০। যে ম্যাচও জিততেই হবে ঋষভ পন্থদের। নইলে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি স্রেফ অর্থহীন হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগে মুখ ভারী আকাশের।
এই ম্যাচে যাবতীয় নজর অস্থায়ী ভারত অধিনায়ক ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) দিকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ঋষভের ব্যাট থেকে এখনও পর্যন্ত একটাও বড় রান আসেনি। গত আইপিএল থেকেই ব্যাটে রান নেই ঋষভের। যে অফ ফর্ম চলতি সিরিজে আরও দীর্ঘায়িত হয়েছে। তবে ঋষভের একটা বড় গুণ হল, চাপের মুখে পারফর্ম করে দেওয়া। অতীতে যা তিনি অনেকবার করেছেন। আবারও সেটা পারেন কি না, দেখার। যতদিন তাঁর অফ ফর্ম চলবে, ভারতের ভোগান্তিও চলবে। কারণ ঋষভ রান পাচ্ছেন না বলে টিমের মিডল অর্ডারও কিছুটা দুর্বল হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: দেউলিয়া বিখ্যাত প্রসাধনী সংস্থা রেভলন, জোগান জটকেই দায়ী করল কর্তৃপক্ষ]
অধিনায়ক না পারলেও ভারতীয় টিমের (Team India) স্বস্তির জায়গাও আছে বেশ কয়েকটা। এক, ঈশান কিষানের ধারাবাহিকতা ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের ফর্মে ফেরা। দুই, যুজবেন্দ্র চাহালকে ফের যুজবেন্দ্র চাহালের মতো দেখানো। তিন, ডেথ ওভারে হর্ষল প্যাটেলের দুর্ধর্ষ বোলিং। গত টি-২০ বিশ্বকাপের পর ভারতের হয়ে অভিষেক হয় হর্ষলের। তার পর থেকে ১১ ম্যাচে ১৭টা উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। ১৯.১১ গড়ে।
রাজকোটে ব্যাটিং সহায়ক পিচই হতে চলেছে বলে খবর। উইকেটে বাউন্স থাকবে এবং রানও পাবেন ব্যাটাররা। তবে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হয়েছে রাজকোটে। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, শুক্রবার খুব বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে হালকা বৃষ্টি হতেও পারে। তাই নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হবে কি না, তা নিয়েও থাকছে ধোঁয়াশা। গতকাল হর্ষল সাংবাদিক সম্মেলনে বলছিলেন, “গত দু’বছর ধরেই আইপিএলে বল করতে এলে ব্যাটার বোঝার চেষ্টা করেছে, আমি কেমন বোলিংটা করি? আসলে একজন বোলার যত বেশি দিন বল করবে, তত ব্যাটার তাকে বোঝার চেষ্টা করবে। আমার কাজ হল, ব্যাটারদের থেকে একধাপ এগিয়ে থাকা। ১৫টা প্ল্যান নিয়ে মাঠে নামা যেতে পারে। কিন্তু মাঠে নেমে যদি সেই প্ল্যানকে কাজে লাগানো না যায়, তাহলে কোনও লাভই নেই। আমাকেও নিজের ক্ষমতা বুঝে চলতে হয়। উমরান মালিকের গতি আমার নেই। তাই আমাকে স্কিল বাড়ানোর উপর মন দিতে হয়। নিজের যা শক্তি, সেটাকেই ঘষে-মেজে আরও ভাল করতে হয়।”