সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। সংক্ষেপে এআই। বাংলা করলে যা দাঁড়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কয়েক বছর আগেই ওয়াকিবহাল মানুষজন ছাড়া এই বিষয়ে তেমন হেলদোল ছিল না কারও। কিন্তু চ্যাটজিপিটি থেকে কপিলট- এই মুহূর্তে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে 'টক অফ দ্য টাউন'। কিন্তু এ হল সবে 'কলির সন্ধে'। এমনটাই বলছেন মাইক্রোসফটের এআই সিইও মুস্তাফা সুলেমান। আগামী কয়েক বছরে এআই টুলগুলি নাকি 'মানুষের মতো' কথা বলবে, আচরণ করবে! এমনই ভবিষ্যদ্বাণী করছেন তিনি।
প্রথমবার ভারত সফরে এসেছেন সুলেমান। বিশ্ববিখ্যাত সংস্থার এআই ডিভিশনের সিইও তিনি। আর এসেই তিনি জানাচ্ছেন, ''কল্পনা করুন আপনার পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট আপনার স্টাইল, আপনার ছন্দ সব রপ্ত করে ফেলেছে! কোন কোন তথ্য আপনার জন্য জরুরি, সোজা কথা কথায় কেবলই কাজ করা হয়, গভীরভাবে ব্যক্তিগত হয়ে ওঠা। আর তা আপনারই অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতে।'' তাঁর দাবি, অদূর ভবিষ্যতে কেবল কাজ নয়, মানুষের জীবনযাপনকেও আরও 'স্মার্ট', আরও নিখুঁত করে তুলবে এআই।
মাইক্রোসফটের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের সভাপতি পুনীত ছন্দকও ছিলেন সুলেমানের সঙ্গে। তাঁরা আগামিদিনে ভারতের কোটি কোটি মানুষের পাশে দাঁড়াতে কী কী পরিকল্পনা করেছেন, সেকথাও তুলে ধরেন এদিন। যার মধ্যে অন্যতম 'কিশানএআই'। এই এআই টুল সরকারকে সাহায্য করবে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছনোর। 'রিয়েল টাইম' তথ্য দিয়ে কৃষকদের সাহায্য করবে।
সাম্প্রতিক অতীতে এইচসিএলের প্রাক্তন সিইও বিনীত নায়ার দাবি করেছিলেন, ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বড়সড় প্রভাব ফেলবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যার ফলে অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে ছাড়াই কাজ চালিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু এদিন মাইক্রোসফটের দুই নেতা এক অন্য স্বপ্ন দেখালেন। যন্ত্রের বিরোধিতা নয়, তাকে সঙ্গে করেই সমৃদ্ধ হবে সভ্যতা, এমনই রঙিন স্বপ্নের বীজ বুনলেন তাঁরা।