সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেদিনই তাঁকে শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে ডেমোক্র্যাটরা। এমনই মন্তব্য করলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত হওয়ার পরে এই প্রথম মুখ খুললেন অশীতিপর ডেমোক্র্যাট নেতা। বাইডেন বলেন, ''আমি গতকালই কথা বলেছি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। এবং সেই সঙ্গেই আশ্বাস দিয়েছি আমার সম্পূর্ণ প্রশাসনকেই আমি নির্দেশ দেব যেন তারা এর শৃঙ্খলাবদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করে।'' প্রসঙ্গত, ২০-র নির্বাচনে হারের পর ট্রাম্প ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন। ক্যাপিটাল হিংসায় উসকানির অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। মনে করা হচ্ছে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই 'প্রচ্ছন্ন খোঁচা'ও দিয়ে রাখলেন বাইডেন।
এদিকে এদিন কমলা হ্যারিস সম্পর্কেও মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে বাইডেনকে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট নেত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, ''উনি ওঁর তরফ থেকে সম্পূর্ণ চেষ্টা করেছিলেন। ওঁর এবং ওঁর সম্পূর্ণ টিমেরই গর্ববোধ করা উচিত যেভাবে প্রচার চালানো হয়েছিল সেটা নিয়ে।'' সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, এই হার মেনে নেওয়াটা ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে খুবই কষ্টকর।
প্রসঙ্গত, শুরুতে ৮২ বছরের জো বাইডেনকেই প্রার্থী হিসেব বেছে নেওয়া হয়েছিল। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা থাকলেও কিছুতেই প্রার্থীপদ ছাড়তে রাজি ছিলেন না প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন না কমলা দন্দ্বে ভুগে শেষ পর্যন্ত তিন মাস আগে প্রার্থী নিশ্চিত হয় ডেমোক্র্যাটদের। যদিও সমীক্ষাগুলি থেকে মনে করা হচ্ছিল কমলা ও ট্রাম্পের মধ্যে 'কাঁটায় কাঁটায় টক্কর' হবে। এবং হয়তো কমলাই শেষ হাসি হাসবেন।
কিন্তু ফলাফল প্রকাশ হতে দেখা যাচ্ছে, ম্যাজিক ফিগার ২৭০ টপকে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট পড়েছে ২৯৫টি, সেখানে কমলাকে থামতে হয়েছে ২২৬-এ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বিগত সরকারের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং বিদেশনীতি থেকে সরে এসে, নতুন কিছু করে দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিতে পারেননি কমলা। মুখে পরিবর্তনের কথা বললেও, তা ঠিক কী, বোঝাতে পারেননি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। আর তাই শেষপর্যন্ত জনাদেশ তাঁকে নয়, ট্রাম্পেরই মসনদে বসা নিশ্চিত করেছে।