সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এআই-কে উন্নত করতে গোপনে চিনকে সহায়তা করেছে ফেসবুক! যা আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ মেটার প্রাক্তন আধিকারিক সারা উইন-উইলিয়ামসের। তাঁর এমন দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে সারার স্মৃতিকথা 'কেয়ারলেস পিপল'। এই বইয়ে তিনি মেটায় চাকরি করার অভিজ্ঞতার কথাই শেয়ার করেছেন। তাঁর অভিযোগ, মার্ক জুকারবার্গ ও অন্যান্য এক্সিকিউটিভরা প্রায়ই মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা শিকেয় তুলে মার্কিন মূল্যবোধকে জলাঞ্জলি দিতেন অক্লেশে। চিনের সরকারের সঙ্গে মিলে উন্নত এআই বানাতে সাহায্য করতেন স্রেফ চিনা বাজারের দখল পেতে। স্বাভাবিক ভাবেই এমন দাবি ঘিরে বিতর্কের জন্ম হয়েছে। দাবি উঠেছে তদন্তের। দাবি উঠেছে মেটার কার্যকলাপ খতিয়ে দেখার। তিনি লিখেছেন, 'মার্ক জুকারবার্গের সবচেয়ে বড় চাল হল মার্কিন পতাকায় নিজেকে মুড়ে ফেলে দেশভক্ত হিসেবে দেখানো। এবং গত দশক থেকে চিনের সঙ্গে কাজ করে ১৮ বিলিয়ন ডলার কামানোর বিষয়টি অস্বীকার করা।'
সারার দাবি, মোটামুটি ২০১৫ সাল থেকেই 'প্রোজেক্ট অলড্রিন' নিয়ে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে কাজ করছে মেটা। যে প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে উন্নত মানের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও। সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, চিন নাকি মেটার লিয়ামা মডেল ব্যবহার করে সেনায় ব্যবহার করার এআই মডেলকে উন্নত করছে। সারার অভিযোগে তা অন্য মাত্রা পেল।
প্রসঙ্গত, চিনা সংস্থার তৈরি ডিপসিক এআই-এর উত্থানের পর উদ্বিগ্ন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “চিনা সংস্থার তৈরি ডিপসিক এআই-এর উত্থানের পর আমাদের সংস্থাগুলির এবার ঘুম ভেঙে জেগে ওঠা উচিত। এবং প্রযুক্তির দুনিয়াতে আরও বেশি করে নজর দেওয়া উচিত। আমি জানি ডিপসিক বাজারে আসার পর মেটা ও ওপেন এআই-এর মতো সংস্থাগুলি যথেষ্ট চিন্তিত। শেয়ার বাজারেও এর যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে।” পাশাপাশি ট্রাম্প আরও বলেন, “অত্যন্ত অল্প খরচে যদি এই ধরনের অ্যাপ তৈরি করা সম্ভব হয়, তাহলে বিপুল অর্থ বিনিয়োগের চেয়ে কম খরচেই আমাদের এই কাজ সেরে ফেলা উচিত। আমাদের টেক সংস্থাগুলি এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবে বলেই আমি মনে করি।” এই পরিস্থিতিতে সামনে এল মেটার প্রাক্তন কর্তার বিস্ফোরক দাবি।