সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেসেজ পাঠাতে ইন্টারনেটই ভরসা। শুধুমাত্র মোবাইল নেটওয়ার্ক-নির্ভর সাধারণ মেসেজ পাঠানোর ব্যবস্থা এখন অতীত। কারণ মেসেজ এখন শুধুই আর শব্দনির্ভর নয়। মেসেজে থাকে বহু ছবি, ভিডিও কিংবা লিঙ্ক বা অন্যান্য অ্যাটাচমেন্ট। তাই একাধিক ধরনের চ্যাট প্ল্যাটফর্মের উপরেই ভরসা করতে হয় আম আদমিকে। যার জন্য প্রয়োজন ইন্টারনেট। তবে এবার আসছে ভিন্নতর প্ল্যাটফর্ম। মেসেজ পাঠাতে মোটেই লাগবে না ইন্টারনেট!
যে উদ্ভাবকের হাত ধরে টুইটারের জন্ম (যা বর্তমানে এক্স নামে মালিকানা বদল করে এলন মাস্কের হাতে) সেই টুইটারের জন্মদাতা জ্যাক ডরসির হাত ধরে বাজারে আসছে বিটচ্যাট। ইন্টারনেট নয়, ব্লুটুথ ব্যবহার করেই এখানে পাঠানো যাবে মেসেজ। তবে মেসেজ প্রাপককে থাকতে হবে প্রেরকের ৩০০ মিটারের মধ্যে। টরেন্ট যেভাবে দুই প্রান্তের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তথ্য আদানপ্রদান করে সেভাবেই বিটচ্যাট ডেটা লেনদেন করবে।
কীভাবে কাজ করবে এই বিটচ্যাট? জানা যাচ্ছে স্টোর অ্যান্ড ফরোয়ার্ড মডেল হিসেবে কাজ করবে এই প্ল্যাটফর্ম। যতক্ষণ সেই ইউজার 'অ্যাভলেবল' থাকবেন ততক্ষণ মেসেজটি সেখানে স্টোর থাকবে। আর এক্ষেত্রে মেসেজ চালাচালি করতে কোনও ইন্টারনেট সংযোগ থাকার দরকারই নেই। পাশাপাশি এক্ষেত্রে মেসেজ থাকবে 'এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড'। আর মেসেজ পাঠাতে কোনও ফোন নম্বর কিংবা ইমেল অ্যাড্রেস, কিছুই লাগবে না।
কেন বিটচ্যাটের আগমনকে এত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে? আসলে এই মুহূর্তে পৃথিবীতে ডিজিটাল প্রাইভেসি নিয়ে নানা আশঙ্কার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নানা ভাবে হ্যাকারদের দাপট কিংবা আরও নানা ফ্যাক্টর রয়েছে। সেক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই বার্তা বিনিময়কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল। কেবল তাই নয়, হোয়াটসঅ্যাপের দৌরাত্ম্যের মাঝে বিটচ্যাট চেষ্টা করছে মেসেজিংয়ের এক নতুন দিগন্ত খোঁজার- স্থানীয়, অজ্ঞাত ও ইন্টারনেটবিহীন বার্তা বিনিময়।
