সম্যক খান ও সুনীপা চক্রবর্তী, মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম: হস্তী সুরক্ষায় নয়া উদ্যোগ নিল রাজ্যের বনদপ্তর। গজের গতিবিধি জানতে এবার তাদের হাতিয়ার এআই ক্যামেরা। খড়গপুর-টাটানগর ডিভিশনের বাঁশতলা এলাকায় ট্রেনলাইন পারাপার করার সময় একটি হস্তিশাবক-সহ মোট ট্রেনের ধাক্কায় মোট তিনটি হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। তাই এবার রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় হাতির দলের গতিবিধি উপর নজর রাখতে এআই ক্যামেরা বসাচ্ছে বনদপ্তর। ঝাড়গ্রাম ও মানিকপাড়া রেঞ্জ মিলিয়ে প্রথম পর্যায়ে ছ'টি ক্যামেরা বসছে। যার ফলে হাতির সরাসরি ছবি আসবে বনদপ্তরের কাছে।
বনদপ্তর সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে মোট ছ'টি এআই ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। প্রতিটি ক্যামেরার দাম ৫০ হাজার টাকা। ছ'টি ক্যামেরার মধ্যে দু'টি বাঁশতলা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। বাকি চারটি ক্যামেরা ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের বরিয়া এলাকায়, রাজ্য সড়কের ধারে, একটি ক্যানেল পাড়ে ও একটি ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের অন্য জায়গায় বসানো হচ্ছে। আরও জানা গিয়েছে, পরবর্তীকালে হাতি অধ্যুষিত ঝাড়গ্রামের পুকুরিয়া এলাকায় ও মানিকপাড়া এলাকায় ১০টি এআই ক্যামেরা বসানো হবে।
জানা গিয়েছে, এই ক্যামেরার মধ্যে সিম থাকবে। ক্যামেরাগুলি অনেক উঁচুতে বসানো থাকবে। এমনকী ১০০ মিটার দূরের ছবি পরিষ্কার দেখা যাবে। যে এলাকায় ক্যামেরাগুলি বসানো হচ্ছে, সেখান দিয়ে হাতি প্রায়ই পারাপার করে। পারাপার করতে গিয়ে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য আরও তৎপর হয়েছে বনদপ্তর। হাতির গতিবিধি জানতে দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে প্রথম ২০২৩ সালে নভেম্বর মাসে পরীক্ষামূলকভাবে ঝাড়গ্রাম ডিভিশনে বসানো হয়েছিল ক্যামেরা। তার মধ্যে একটি ক্যামেরা চুরি হয়েছিল। গ্রেপ্তার হয়েছিল একজন। তবে এই ক্যামেরা চুরি হওয়ার আগেই তার ছবি উঠে যাবে। ইতিমধ্যে বাঁশতলা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ক্যামেরা বসানো হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলি চলতি সপ্তাহে লাগানো হবে বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম বলেন, "হাতিদের গতিবিধি জানার জন্য এআই ক্যামেরা বসছে। প্রথম পর্যায়ে ছ'টি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। হাতি পারাপার হলেই রেঞ্জ অফিসারের কাছে মেসেজ চলে আসবে। আগাম সতর্ক হওয়া যাবে।"
