সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়ঙ্কর ঘটনা ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand)। পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এক তরুণীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হল। ১০ জন মিলে গণধর্ষণ ও মারধর করে বলে অভিযোগ। পরে তাঁকে নির্জন রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ক্ষতবিক্ষত তরুণী কোনওক্রমে বাড়ি ফিরতে সক্ষম হয়। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি। ঘটনার সময় সঙ্গে ছিলেন তরুণীর পুরুষবন্ধু। তাঁকে বেধড়ক মারধরের পরেই তরুণীর উপর অত্যাচার চালায় অভিযুক্তরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি গত ২০ অক্টোবরের। পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তরুণী বর্তমানে ওয়ার্ক হোম পদ্ধতিতে বাড়ি থেকে কাজ করছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে মোটরবাইকে চেপে ঘুরতে বের হন। চাইবাসায় (Chaibasa) একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’জন কথা বলছিলেন। তখনই আট থেকে দশজন দুষ্কৃতী ঘটনাস্থলে হাজির হয় বলে অভিযোগ। তারা তরুণীর বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করে। এরপর তরুণীকে মারতে মারতে জোর করে একটি গাড়িতে তুলে নেয়।
[আরও পড়ুন: তাজমহলের বন্ধ ঘর খোলার আরজি সুপ্রিম কোর্টে, কী বলল শীর্ষ আদালত]
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, এরপর তাঁকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ১০ জন মিলে ধর্ষণ করে। তাঁকে নির্মম ভাবে মারধর করে তারা। একটানা ভয়ংকর নির্যাতন চালানোর পর ফের তাঁকে গাড়িতে তুলে চাইবাসার নির্জন রাস্তায় ফেলে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার সময় তরুণীর টাকার ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে গুরুতর আহত তরুণী কোনওরকমে নিজের বাড়িতে ফিরতে সক্ষম হন এবং ঘটনার কথা পরিবারকে জানান।
পরিবারের লোকেরা দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করেন। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন তরুণী। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ১০ জনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে চাইবাসার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: দেশে বিলুপ্ত চিতা ছেড়েছিলেন মোদি, সেই কুনো জাতীয় উদ্যানে উদ্ধার গুপ্তধন!]
ক’দিন আগে ভয়ংকর নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। ৩৬ বছরের যুবতীকে টানা দু’দিন ধরে গণধর্ষণ করা হয়। বর্বর অত্যাচারের পর হাত-পা বেঁধে বস্তাবন্দি করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় তাঁকে। পুলিশ জানায়, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধারের সময় যুবতীর গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢোকানো ছিল। এই ঘটনার ভয়াবহতা নির্ভয়া কাণ্ডের কথা মনে করায়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন যুবতী।