সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাস কাণ্ডের পর উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল গোটা দেশ। এর মধ্যেই যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) রাজ্যে আরও ধর্ষণের (Rape) ঘটনা সামনে এসেছে। সেই তালিকায় সাম্প্রতিকতম সংযোজন সতেরো বছরের এক কিশোরী। রবিবার ঝাঁসির (Jhansi) এক পলিটেকনিক কলেজের হোস্টেলের ভিতরে তাঁকে ধর্ষণ করে পলিটেকনিক ছাত্ররা! কেবল ধর্ষণ করাই নয়, তোলা হয় আপত্তিকর ভিডিও-ও। যে সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, সেসময় ওই কলেজে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা চলছিল। চত্বরে মোতায়েন ছিল পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতিতে কী করে এমন ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে ওই কলেজে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই দ্বিতীয় বর্ষের একদল পড়ুয়া তাঁকে তুলে হোস্টেলের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে এক ছাত্র তাঁকে ধর্ষণ করে। বাকিরা ভিডিওয় তুলে রাখে সেই ঘটনার দৃশ্য। মারধর করা হয় নির্যাতিতার বন্ধুকেও।
[আরও পড়ুন : ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোগ্য কামনায় উপবাস, প্রাণ গেল তেলেঙ্গানার যুবকের]
পুলিশ জানাচ্ছে, চত্বরে মোতায়েন থাকা কয়েকজন পুলিশ কর্মী নির্যাতিতার কান্না শুনতে পান। এরপর তাঁরা ওই কিশোরীকে সিপ্রি বাজার থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর সময় ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন তিনি। একজন অভিযুক্তকে চিহ্নিতও করেছেন নির্যাতিতা। তার নাম ভরত।
ওই পলিটেকনিক কলেজের প্রিন্সিপাল নবীন কুমার জানাচ্ছেন, ‘‘অভিযুক্তরা সকলেই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তবে তাদের সকলের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এখনও নিশ্চিত নয় তারা সকলেই হোস্টেলের ছাত্র কিনা। কলেজ চত্বরে একজন নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও ঘটনার সময় তিনি কলেজে চলতে থাকা পরীক্ষার স্থানে ব্যস্ত ছিলেন।’’ ঝাঁসির পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, পুলিশ এখনও পর্যন্ত দুই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
[আরও পড়ুন : দেশে একধাক্কায় অনেকটা কমল দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, কমল মৃত্যুও]
‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’-র তথ্য অনুযায়ী, গত তিন-চার বছরে উত্তরপ্রদেশে লাফিয়ে বেড়েছে ধর্ষণ সহ অন্যান্য যৌন নির্যাতনের ঘটনা। হাথরাসের ঘটনার পরে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ দাবি করে জানিয়েছিলেন, এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকার কোনও অধিকার নেই তাঁর।