সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাদুর্দিন চকোলেট সংস্থার৷ পৌষমাস ফেসবুকের৷ সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, চকোলেট-সুখ পাওয়ার জন্য আর চকোলেট খেতে হচ্ছে না নেটিজেনদের৷ ফেসবুক বা যেকোনও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে পাওয়া এক পিস লাইকই নাড়া দিচ্ছে তাদের অ্যাড্রেনালিনে৷ মস্তিষ্কে হচ্ছে সুখানুভূতি৷ বিশেষ করে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে এই প্রবণতা৷ ফেসবুকের স্ট্যাটাস কিংবা ছবিতে বাড়তে থাকা লাইক আনন্দে ভরিয়ে দিচ্ছে টিন-টুইনসদের মন৷ টাকা জেতা পুরস্কার পাওয়া বা চকোলেট খাওয়ার মতোই অনাবিল সেই আনন্দ৷
লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এব্যাপারে একটি গবেষণা শুরু করেছিল মাস কয়েক আগে৷ গবেষকরা জানিয়েছেন, ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সি ৩২ জন কিশোর-কিশোরীদের উপর পরীক্ষা করেই এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন তাঁরা৷ টানা ১২ মিনিট ধরে কম্পিউটার স্ক্রিনে ১৪৮টি ছবি দেখানো হয়েছিল এই কিশোর-কিশোরীদের৷ এর মধ্যে ৪০টি ফটো ছিল তাদের নিজেদের৷ ফাংশনাল ম্যাগনেটিক রেসোন্যান্স নামের এক বিশেষ প্রক্রিয়া ব্যবহার করে দেখা গিয়েছে, যখনই নিজেদের ছবিতে প্রচুর লাইক পড়তে দেখেছে কোনও কিশোর বা কিশোরী তখনই তাদের মস্তিষ্কের নিউক্লিয়াস অ্যাকিউমবেন্স নামের একটি ক্ষেত্র বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছে৷ গবেষকরা জানিয়েছেন, নিউক্লিয়াস অ্যাকিউমবেন্স নামের ওই ক্ষেত্রটিকে বলা হয় মস্তিষ্কের রিওয়ার্ডিং সার্কিট৷ যা সাধারণত সংবেদনশীল থাকে বয়ঃসন্ধিকালে৷ গবেষকদের মতে পুরস্কার পাওয়া বা চকোলেট খাওয়ার মতো আনন্দের ঘটনায় প্রভাবিত হয় মস্তিষ্কের এই বিশেষ ক্ষেত্রটি৷ কিন্তু, সামাজিক পরিবর্তনের কারণে সোশ্যাল নেটওয়ার্কও সেই একই সুখানুভূতি দিচ্ছে কমবয়সি নেটিজেনদের৷
The post ফেসবুকে লাইক পেলেই চকোলেটের আনন্দ appeared first on Sangbad Pratidin.