বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: হাঁসখালিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ (Hanskhali Rape Case), পুড়িয়ে মারার মতো নারকীয় ঘটনার স্মৃতি টাটকা। প্রকৃত দোষীকে ধরতে জোরকদমে কাজ চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)। ইতিমধ্যে তিনজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। তারই মধ্যে এই জেলা থেকেই ফের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুনের মতো অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল। পুলিশও এমন অভিযোগ পেয়ে সক্রিয়ভাবে তদন্তে নেমেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে। নাবালিকার দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার আবেদন জানানোয় আদালত সম্মতিও মিলেছে বলে জানিয়েছেন রানাঘাটের পুলিশ সুপার।
জানা গিয়েছে, গত ১১ তারিখ ধানতলার শংকরপুরে দুঃসম্পর্কের দিদির বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল বছর পনেরোর কিশোরী। তাঁর বাড়ি গাংনাপুরে। সেখানে ১৫ তারিখ কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয় ঝুলন্ত অবস্থায়। এরপর কিশোরীর বাবা ধানতলা থানায় খুনের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেইমতো রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় গলদ আছে বলে অভিযোগ তোলেন কিশোরীরে বাবা। তিনি থানায় দ্বিতীয় আরেকটি অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগপত্র অনুযায়ী, তাঁর মেয়ের মৃত্যু অস্বাভাবিক। ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে, পরে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য মেয়েটির জামাইবাবুকে দায়ী করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ড: তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেপ্তারি, জালে সোহেলের বন্ধু]
এই অভিযোগ পেতেই পুলিশ সক্রিয়তার সঙ্গে তদন্তে নামে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে। তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য বের করতে মরিয়া তদন্তকারীরা। প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে নিহতের পরিবারের অসন্তোষ থাকায় তাঁরা দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেছিলেন। আদালত তা মঞ্জুর করায় দ্বিতীয়বারের জন্য তা শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনা নিয়ে নানা মত উঠে আসছে। প্রতিবেশীদের একাংশের মত, মেয়েটিকে বাড়িতে বকাবকি করায় সে আত্মহত্যা করেছে। কেউ আবার এতে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ছায়া দেখছেন। আর বাবার অভিযোগ, মেয়েকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: এবার বাংলাতেও তৈরি হবে বিরাট হনুমান মূর্তি, হনুমান জয়ন্তীতে ঘোষণা মোদির]
রানাঘাটের পুলিশ সুপার রূপান্তর সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, ”মেয়েটির বাবা দ্বিতীয়বার যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তা বেশ গুরুতর। সেইসব ধারাতেই মামলা রুজু হয়েছে। বাসুদেব সন্ন্যাসী ও মলয় সন্ন্যাসী নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আরও দুজন ধরা পড়েছে। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে আমরা বিষয়টি দেখছি। ”