সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনের পর দিন ধর্ষণের (Raoe) শিকার হতে হয়েছিল তাকে। প্রথমে এক ৪৫ বছরের ব্যক্তি, পরে তার তিন সঙ্গী মিলে লাগাতার ৬ থেকে ৭ মাস ধরে নারকীয় অত্যাচার চালাচ্ছিল রাজস্থানের (Rajasthan) আলওয়ারের কিশোরীটির উপরে। শেষ পর্যন্ত এই নির্যাতন থেকে ‘মুক্তি’ পেতে মাঠে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুন করার অভিযোগ উঠল নির্যাতিতার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
গত ১৭ মে একটি মাঠের ধারে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর দুই ছেলের বয়স কুড়ির কোঠায়। প্রথমে সকলেরই ধারণা হয়েছিল, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। কিন্তু পরে পুলিশ লক্ষ করে মৃত ব্যক্তির ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের পরে নিশ্চিত জানা যায়, এটা খুনই। কিন্তু কে খুন করেছে সেব্যাপারে কোনও আভাস কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রায় জনা দশেক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনও সুরাহা হচ্ছিল না। অবশেষে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ছেঁড়া কাপড়ের টুকরো ও আরও কিছু সূত্র থেকে পুলিশের সন্দেহ দৃঢ় হয় ওই কিশোরীর প্রতি। তাকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: ‘নেত্রীর ভাষণে গর্বিত হোন’, হজরতকে নিয়ে মন্তব্যে নুপূর শর্মাকে সমর্থন নেদারল্যান্ডের নেতার]
ঠিক কী হয়েছিল ওই নির্যাতিতার সঙ্গে? কিশোরী জানিয়েছে, একটি ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা ফোনে কথা বলত। একদিন অভিযুক্ত ব্যক্তির ফোন সে চায় ফোন করার জন্য। কথাও হয়। আর তারপরই শুরু হয় আসল সমস্যা। ওই ব্যক্তি কলটি রেকর্ড করে রেখেছিলেন। পরে সেটি মেয়েটির পরিবারের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েই শুরু হয় ধর্ষণ। এই ভাবে ব্ল্যাকমেল করে দিনের পর দিন কিশোরীকে ধর্ষণ করার পরে ওই ব্যক্তি তাঁর তিন সঙ্গীর সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করেন নির্যাতিতাকে।
এভাবে টানা ছয় থেকে সাত মাস নির্যাতন চলার পরে ওই ব্যক্তিকে খুন করার পরিকল্পনা করে সে। আর সেই মতো ওই ব্যক্তি যখন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন, তখন তাঁকে কৌশলে মাঠে নিয়ে গিয়ে সেখানেই তাঁকে ধারাল অস্ত্রের কোপ দিয়ে খুন করে সে। বাকি তিন অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযাগ ছাড়াও পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। নির্যাতিতা কিশোরীকে পাঠানো হয়েছে হোমে।