shono
Advertisement

পাক গোলায় শহিদ সুবোধ ঘোষের পরিজনদের সঙ্গে দেখা, পাশে থাকার আশ্বাস তেহট্টের বিধায়কের

কাশ্মীরে ফের পাকিস্তানের হামলার পালটা ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব অধীর চৌধুরি।
Posted: 07:35 PM Nov 14, 2020Updated: 07:35 PM Nov 14, 2020

রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: পাকিস্তানের ছোঁড়া গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছে ঘরের ছেলে। শহিদ হয়েছেন তেহট্টের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা ভারতীয় জওয়ান সুবোধ ঘোষ। চোখের জলে ভাসছেন পরিজন, পরিচিতরা। কফিনবন্দি দেহ ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন শোকস্তব্ধরা। তার আগে শনিবার তাঁর বাড়িতে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভিড়।

Advertisement

এদিন সুবোধ ঘোষের বাড়িতে যান বিধায়ক গৌরীশংকর দত্ত। শহিদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন বিধায়ক। রাজ্য সরকার সবসময় শহিদ পরিবারের পাশে আছে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। এদিকে, পাকিস্তানের ছোঁড়া গুলিতে ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন অধীর চৌধুরি। কাশ্মীরে ফের পাকিস্তানের হামলার পালটা ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করলেন কংগ্রেস সাংসদ। তিনি বলেন, “পাকিস্তান বারবার সীমান্তে হামলা করে ভারতকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে এটাই তাদের পরিকল্পনা। ভারত সরকারের কাছে দাবি, পাকিস্তান যে ভাষা বোঝে তাকে সেই ভাষাতেই জবাব দেওয়া হোক।”

[আরও পড়ুন: ‘গাড়ির ভাঙা কাঁচ বদলানো যাবে, সরকার ভেঙে দিলে কী করবেন?’ তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলীপের]

খুব মেধাবী না হলেও ছোট থেকে পড়াশোনায় ভালই ছিলেন সুবোধ। নিজের যোগ্যতায় বেশ কম বয়সেই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে (Indian Army) চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সুবোধের পরিবার সূত্রে খবর, গত চার বছর ধরেই সেনাবাহিনীতে ছিলেন। গত বছর বিয়ে করেন। তিনমাসের কন্যাসন্তানও রয়েছে তাঁর। জুলাই মাসে শেষবার মাত্র ৪০ দিনের ছুটিতে বাড়িতে ফিরেছিলেন সুবোধ ঘোষ। কথা দিয়ে গিয়েছিলেন ডিসেম্বরে আসবেন তিনি। দেখবেন সন্তানের মুখ। কথা রাখতে পারলেন না বাঙালি জওয়ান। বৃহস্পতিবার দুপুরে শেষবারের মতো ছেলের সঙ্গে কথা হয় মা বাসন্তীর।

ছেলের মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর থেকে সামান্য জল ছাড়া আর কিছুই মুখে তোলেননি শহিদের বাবা গৌরাঙ্গ ঘোষ। তিনি বলেন, “ফোনে ছেলেকে একাধিকবার বলেছিলাম বাড়িতে কিছুদিনের জন্য আসতে। কিন্তু পরে যাব বলে জানিয়ে দিত। এখনও পর্যন্ত নাতনির মুখও দেখেনি। বলেছিল বছরের শেষে একেবারে গিয়ে নাতনিকে দেখার পাশাপাশি অন্নপ্রাশন করবে। কিন্তু তা আর হল না।” দাদাকে আর কখনও ভাইফোঁটা দেওয়া হবে না, কাঁদতে কাঁদতে শুধু একথাই বলে চলেছেন শহিদের বোন পলি। সুবোধের মৃত্যু সংবাদে ভেঙে পড়েছেন তাঁর কাছের বন্ধুরা। শনিবার সকাল থেকেই রঘুনাথপুর এলাকার রাস্তার পাশেই জাতীয় পতাকা সহ তার নামের ব্যানার লাগিয়েছেন তাঁরা। শেষবার কফিনবন্দি দেহ দেখার প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে রঘুনাথপুর।

[আরও পড়ুন: ৫ বছরের শিশুর যৌন হেনস্তা! নেড়া করে অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন প্রতিবেশীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement