সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নামে গণতন্ত্র হলেও পাকিস্তানের (Pakistan) রাশ আসলে রয়েছে সেনা ও মৌলবাদীদের হাতে। এবার শান্তিচুক্তির নামে জেহাদি সংগঠন ‘তেহরিক-ই-লাবাইক পাকিস্তান’-কে ভোটে লড়ার অনুমতি দিল ইসলামাবাদ।
[আরও পড়ুন: গলছে চিন-আমেরিকা সম্পর্কের বরফ, বন্ধ দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত জিনপিং ও বাইডেনের]
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই পাকিস্তানে হিংসাত্মক প্রতিবাদ দেখাচ্ছে তেহরিক-ই-লাবাইক (TLP)। তাদের দাবি, ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে দেশ থেকে বের করে দিতে হবে। কেন এমন দাবি করছে সংগঠনটি? এর উত্তর হচ্ছে, গত বছর স্কুলের পড়ুয়াদের হজরত মহম্মদের কার্টুন দেখিয়েছিলেন এক ফরাসি শিক্ষক। এর জেরে তাঁকে নৃংশসভাবে খুন করে এক মুসলিম জঙ্গি। পাশবিক এই ঘটনার নিন্দা করতে গিয়ে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিতর্কিতমূলক মন্তব্য করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তারপর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের প্রধানরা এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন। ফ্রান্সের পণ্য বয়কট করারও ডাক দেন কেউ কেউ। বিভিন্ন দেশে ফ্রান্স বিরোধী বিক্ষোভও শুরু হয়। পাকিস্তানেও প্রতিবাদ শুরু করে লাবাইক।
পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চুক্তির শর্ত মাফিক কট্টরপন্থী ধর্মীয় সংগঠন টিএলপি-র প্রধান সাদ রাজভি-সহ গ্রেপ্তার করা হাজার দু’য়েক সদস্যকে মুক্তি দিতে চলেছে ইসলামাবাদ। পঞ্জাব প্রদেশের আইনমন্ত্রী রাজা বাশারত জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রাজভি-সহ টিএলপি-র হাজারখানেক সদস্যকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে সংগঠনটি। আর সেই ধাক্কা সামলাতে হবে ইসলামাবাদকে।
চলতি বছরের গোড়ায় তেহরিক-ই-লবাইককে (টিএলপি) জঙ্গি তকমা দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। সংগঠনের প্রধান সাদ রাজভি-সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল হাজার দু’য়েক সদস্যকে।শোনা যাচ্ছে জঙ্গি আখ্যা তোলা হলে তারাও আর ফরাসি দূতের বহিষ্কার চাইবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে টিএলপি। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি তারা রাখবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।