সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক ভবিষ্যৎবাণী করে চলেছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর বা পিকে। তাঁর মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল শুরু হয়েছে রাজনীতিতে। নির্বাচনে বিজেপিকে এগিয়ে রাখা পিকের বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তাঁকে ট্রোজান হর্সের সঙ্গে তুলনা করে তেজস্বীর দাবি, 'পিকে বিজেপির সদস্য।' একইসঙ্গে জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমারকে তোপ দেগে তিনি বলেন, 'অমিত শাহের নির্দেশে দলে তাঁকে জেডিইউ সহ-সভাপতি করা হয়।'
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তেজস্বী (Tejashwi Yadav) বলেন, 'খোদ নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) একবার সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে নিজেই স্বীকার করেছিলেন তৎকালীন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের (Amit Shah) নির্দেশে প্রশান্ত কিশোরকে জেডিইউর সহ-সভাপতি করা হয়। তাঁর সেই বক্তব্যের পর অমিত শাহ কিংবা পিকে তাঁর দাবিকে খণ্ডন করেননি। এর চেয়ে স্পষ্ট উদাহরণ আর কিছুই হতে পারে না যে পিকে বিজেপির সদস্য।' তেজস্বী আরও বলেন, 'একটি দলের সভাপতি নির্বাচনী বাজারে একজন ব্যক্তিকে আর একটি দলের (জেডিইউ) সহ-সভাপতি করলেন এবং সেই দল (বিজেপি) তাঁর বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গসহ একাধিক অভিযোগ তুলে তাঁকে দল থেকে বরখাস্ত করল। অঙ্কটা আপনারা বুঝুন।'
[আরও পড়ুন: ‘দেবেগৌড়াই নাতিকে পালাতে সাহায্য করেছেন’, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সিদ্দারামাইয়া]
শুধু তাই নয়, গোটা বিষয়টি পরিকল্পিত বলে অভিযোগ করে তেজস্বী আরও বলেন, 'সবটা এখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই ব্যক্তি (পিকে) একটি দলের (বিজেপি) হয়ে কাজ করেন, কিন্তু সেই দল ছেড়ে অন্য একটি দলে যান। এবং পুরানো দলকে সব তথ্য ফাঁস করতে থাকেন।' তেজস্বীর অভিযোগ, 'আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) যে রাজ্যে যখনই কোনও আঞ্চলিক দলের হয়ে কাজ করেছে, সেই রাজ্যে বিজেপি শক্তিশালী হয়েছে এবং অন্যান্য দলগুলিকে রাজনীতি থেকে মুছে দিয়েছে।' এমনকী বিহারে পিকে যে এনজিও খুলেছিলেন সেটি নির্বাচনে পুরোপুরি বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলে দাবি তেজস্বীর।
[আরও পড়ুন: কমিশনকে স্বস্তি, নির্বাচনী তথ্য প্রকাশে কোনও নির্দেশ দিতে নারাজ শীর্ষ আদালত]
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর দাবি করেছিলেন এই নির্বাচনে গতবারের চেয়ে বেশি আসন পেতে চলেছে বিজেপি। পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে আরও বেশি আসন পেতে চলেছে তারা। যদিও সামান্য আশঙ্কার বার্তাও দেন পিকে। বলেন, 'পশ্চিম ও উত্তর ভারতে এবার সামান্য ক্ষতি হতে পারে বিজেপির তবে সার্বিকভাবে এবার এনডিও ৩০৩ আসনের চেয়েও কিছু বেশি আসন পাবে গেরুয়া শিবির।' তবে ৪০০ আসন পাওয়া যা কঠিন সে কথাও জানিয়ে দেন প্রশান্ত কিশোর।