সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য পরিবহণ সংস্থার ৪৭ হাজারের বেশি ধর্মঘটী কর্মীকে নজিরবিহীন ভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিল তেলেঙ্গানা সরকার। এপ্রসঙ্গে টিআরএস প্রধান তথা তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বলেছেন, ‘এটা (ধর্মঘট) অমার্জনীয় অপরাধ।’
[আরও পড়ুন: আপনারা কি পাকিস্তানি? ‘ভারত মাতা কি জয়’ না বলায় যুবকদের তোপ বিজেপি প্রার্থীর]
রাজ্যের সড়ক পরিবহণ নিগমের সংযুক্তিকরণ-সহ মোট ২৬ দফা দাবিতে শনি ও রবিবার দু’দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল পরিবহণ কর্মীদের ইউনিয়ন। একটি জনস্বার্থ মামলার রায়ে তেলেঙ্গানা হাই কোর্ট সরকারকে নির্দেশ দেয়, যাতে মানুষের দুর্ভোগ না হয় তার জন্য সরকারকে বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাইরে থেকে চালক নিয়ে এসে ১৪ হাজার বাস চালানোর চেষ্টাও করে সরকার। কিন্তু, তাতেও বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে সরকারের তরফে।
তেলেঙ্গানার পরিবহণ দপ্তর জানিয়েছে, এই ধর্মঘটের জন্য প্রায় ১২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে সরকারের। শনিবার সন্ধে ছ’টার সময়ে ধর্মঘট তুলে নেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু, পরিবহণ কর্মীদের সংগঠন তাতেও ধর্মঘটে অনড় ছিল। রবিবার পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়া হয়। তেলেঙ্গানা সড়ক পরিবহণ নিগমে প্রায় ৫০ হাজার কর্মী কাজ করেন। এই আন্দোলনের জেরে তার মধ্যে ৪৮ হাজার কর্মীকে বরখাস্ত করেছে রাজ্য সরকার। তাদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পালটা আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে পরিবহণ কর্মীদের ইউনিয়ন।
[আরও পড়ুন:যমুনা দূষণ রোধে অভিনব উদ্যোগ, মন্দির প্রাঙ্গণেই প্রতিমা বিসর্জন দিল্লিতে]
ধর্মঘটে অংশ নেওয়া কর্মীদের অভিযোগ, সরকারি সংস্থা হলেও তাঁদের বেতন কাঠামো রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মতো নয়। দিনের পর দিন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। পরিস্থিতির চাপে অসহায় হয়ে পড়াতেই এই ধর্মঘট। এদিকে সরকারের বরখাস্ত সিদ্ধান্তের ফলে সোমবারও কার্যত অচল ছিল তেলেঙ্গানার সরকারি সড়ক পরিবহণ।
ধর্মঘটে অংশ নেওয়া ভারতীয় মজদুর সংঘের এক সদস্য জানান, ধর্মঘট করে তাঁরা কোনও ভুল কাজ করেননি। ধর্মঘটের নোটিস ১৫ দিন আগে দিতে হবে, এটাই নিয়ম। সেই নিয়ম মেনে তাঁরা ২০ দিন আগে সরকারকে নোটিস দেন। তারপরও সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
The post ন্যায্য বেতনের দাবিতে আন্দোলনের জের, তেলেঙ্গানায় বরখাস্ত ৪৭ হাজার সরকারি কর্মী appeared first on Sangbad Pratidin.