সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারিদিকে সাজো সাজো রব। ঢাকে কাঠি পড়তে হাতে আর মাত্র কয়েক মাস। তারপরই শুরু হবে বাঙালির সেরা উৎসব শারদোৎসব। আর সেই শারদোৎসবের সূত্রপাত হবে মহালয়ার ভরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে। তবে শুধুই রেডিওতে নয় বরং টেলিভিশনের পর্দাতেও রমরমিয়ে হবে মহালয়ার পুণ্য প্রভাতে মহিষাসুরমর্দিনীর নানা অনুষ্ঠান।
এবছরও ব্যতিক্রম নয়। ইতিমধ্যেই মহালয়ার ভোরের মহিষাসুরমর্দিনী প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বছর সান বাংলায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মহালয়া "অকাল বোধন"। বহু বছর পর মহিষাসুরমর্দিনী রূপে ফের দেখা যাবে পায়েল দে-কে। ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পায়েল দে। পায়েলকে বহুবার দূর্গা রূপে টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গিয়েছে। মাঝে কিছু বছর অভিনেত্রীকে এই চরিত্রে দেখা না গেলেও দর্শকের মনে কিন্তু তা নিয়ে বারবার -প্রশ্ন জেগেছে যে অভিনেত্রী পায়েলকে কবে দেখা যাবে টেলিভিশনের পর্দায়? এবার দর্শকের সেই অপেক্ষার অবসান যে ঘটতে চলেছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই ভূমিকায় ফের অভিনয় করতে পেরে খুশি অভিনেত্রী নিজেও।
ফের মা দুর্গার ভূমিকায় দর্শকের দরবারে আসার সুযোগ পেয়ে আপ্লুত পায়েল জানান, "আমার সৌভাগ্য যে আমি আবার মহিষাসুরমর্দিনী করার সুযোগ পেয়েছি। প্রত্যেক নৃত্যশিল্পীর কাছে এটা একটা স্বপ্নপূরণের মত। জীবনে সবাই চায় একবার মহিষাসুরমর্দিনী করতে। যতদূর মনে পরে ২০১৭ সালে কোনও এক চ্যানেলের জন্য আমি শেষ মহিষাসুরমর্দিনী করেছিলাম। মাঝে অনেকটা বছর বিরতি। এত বছর পর আবার আমায় সেই সুযোগ করে দেবার জন্য সান বাংলাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের জোর কদমে রিহার্সাল চলছে। 'অকাল বোধনে' এর চিত্রনাট্যে পৌরাণিক কাহিনির সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন করা হয়েছে। এত বছর পর মহিষাসুরমর্দিনী করতে পেরে আমার খুবই নস্ট্যালজিক লাগছে।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পায়েল এই মুহূর্তে সান বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল 'কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে' তে 'আলোর' ভূমিকায় অভিনয় করছেন। ইতিমধ্যেই 'আলো' চরিত্রটি মানুষের কাছে খুবই প্রিয় হয়ে উঠেছে।
'অকাল বোধন'-এর গল্প অনেকটা এই রকম--ত্রেতা যুগে রামচন্দ্র আর রাবণের যুদ্ধে যখন দেবীর আশীর্বাদে রাবণ প্রায় যুদ্ধ জয়ের দিকে এগোচ্ছে, তখন বেগতিক দেখে ব্রহ্মার পরামর্শে রামচন্দ্র দেবী দুর্গাকে অকাল বোধন রূপে আরাধনা শুরু করেন। দেবী ভক্তের ভক্তি পরীক্ষা করার জন্য পুজোর একটা পদ্ম লুকিয়ে রাখে। পুজোয় পদ্ম কম পরছে দেখে রামচন্দ্র নিজের চোখ তির মেরে অর্পণ করতে চাইলে দেবী খুশি হয়ে পদ্ম ফুল ফিরিয়ে দেন এবং রামকে যুদ্ধ জয়ের আশীর্বাদ করেন। হনুমান রামচন্দ্রের কাছে দেবী মহিমা জানতে চাইলে রামচন্দ্র তাদের মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেবীর মাহাত্ম্য বর্ণনা করেন,এভাবেই আমরা দেবী দুর্গার মহিষাসুরমর্দিনী রূপ দেখি। অন্যান্য চরিত্রে সান বাংলা পরিবারের সদস্যরাই অভিনয় করছেন। 'অকাল বোধন' মহালয়ার দিন ভোর বেলায় সান বাংলার পর্দায় দেখা যাবে।
