সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনে বসানো হয়েছে এটিএম ৷ দরজার সামনে লেখা এখানে পুরনো ৫০০ ও ১০০০-এর নোট নেওয়া হচ্ছে না৷ কোনও শপিং মল বা দোকানের নয়, দেশের বেশকিছু বড় মন্দিরের ছবিটা এখন এরকমই৷ সবই নমোর নোট বাতিলের আশীর্বাদে৷ বলা ভাল, দেশে ক্যাশলেস ইকোনমি তৈরির যে প্রচেষ্টা চলছে তারই প্রভাব পড়েছে ধর্মীয় স্থানগুলিতেও৷
এতদিন মন্দিরের প্রণামির বাক্সেই টাকা ফেলতেন পূর্ণ্যার্থীরা৷ তবে কিছুদিন আগে দেশে কালো টাকা রুখতে পুরনো নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার৷ আর তাতে দেখা গিয়েছে, পুরনো টাকাগুলি মন্দিরের প্রণামি বাক্সে ফেলছেন বহু মানুষ৷ আর জমা হওয়া সেই বাতিল নোট বদলাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মন্দির কমিটিকে৷ তাই পুরনো নোট ফেলা বন্ধ করতেই দেশের বহু ধর্মীয় স্থানেই বড় বড় অক্ষরে লেখা ‘বাতিল নোট প্রণামির বাক্সে দেবেন না’৷ এখানেই শেষ নয় পূর্ণ্যার্থীদের সুবিধার্থে মন্দিরে রাখা হচ্ছে ই-ওয়ালেট ও এটিএম৷ বিশেষত পুরীর জগন্নাথ মন্দির, মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির, গুজরাতের শ্রী সোমনাথ মন্দিরে ইতিমধ্যেই এই ব্যবস্থা নজরে এসেছে৷ তবে এক্ষেত্রে অবশ্য মন্দিরের আয় কিছুটা কমেছে৷ সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির কমিটির প্রধান সঞ্জীব পাটিল জানাচ্ছেন, তাঁরা পুরনো নোট নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে৷ তবে তাতে যেখানে দৈনিক ৬ লক্ষ টাকা মন্দিরের প্রণামি বাক্সে পড়ত, তা এখন কমে সাড়ে ৩ লক্ষ হয়েছে৷ এক্ষেত্রে মন্দিরের সামনে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এটিএম রাখা হয়েছে বলেও জানান সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির কমিটির প্রধান৷
তবে এক্ষেত্রে একটু অন্যপথেই হাঁটছে তিরুপতি মন্দির যেটা বর্তমানে দেশের অন্যতম সম্পদশালী মন্দির হিসাবে গণ্য করা হয়৷ তিরুপতি মন্দির কমিটির প্রধান জানাচ্ছেন, মন্দিরের দৈনিক আয় আড়াই থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা৷ এমনকি মঙ্গলবার তা ছুঁয়েছে ৪.১৮ কোটি টাকায়৷ তাঁরা অবশ্য পূর্ণ্যার্থীদের বাতিল নোট ফেলতে নিষেধ করেননি৷ এমনকি ৩০ ডিসেম্বরের পরেও তাঁরা পুরনো ৫০০, ১০০০ টাকার নোট নেবেন বলে জানিয়েছেন৷ তবে সেক্ষেত্রে বাতিল টাকার বিষয় নিয়ে মন্দির কমিটির তরফে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে কথা বলা হবে বলেও জানান তিরুপতি মন্দিরের প্রধান৷ তবে পূর্ণ্যার্থীদের মধ্যে ই-ওয়ালেট ব্যবস্থা জনপ্রিয় হলে সেই ব্যবস্থাও মন্দিরে রাখা হবে বলে জানান তিনি৷