সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্ঞানব্যাপী বিতর্কের মাঝেই ম্যাঙ্গালুরুর (Mangaluru) এক মসজিদের অন্দরে নাকি মিলেছে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। সেখানে দেবতা উপস্থিত আছে কি না তা জানতে আগামী ২৫ মে ওই মসজিদ চত্বরে বিশেষ ধর্মীয় উপাচার পালনের পরিকল্পনা করছে হিন্দুত্ববাদীরা। এনিয়ে ইতিমধ্যে একটি বৈঠকও সেরে ফেলেছে তারা। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) নামজাদা নেতারা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ম্যাঙ্গালুরুতে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। চিন্তা বেড়েছে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘিরে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ম্যাঙ্গালুরুর শহরের বাইরে মালালি এলাকায় একটি মসজিদের নিচে হিন্দু মন্দিরের (Hindu Temple) মতো অংশের হদিশ মেলে বলে খবর। জানা গিয়েছে, মালালির জুমা মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছিল কর্তৃপক্ষ। সেই সময় ওই মসজিদ চত্বরে মন্দিরের মতো একটি কাঠামোর হদিশ মেলে। তার পর থেকেই তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এবার মসজিদ চত্বরে পুজোপাঠের পরিকল্পনা করছে একটি হিন্দু ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠী। এই সংক্রান্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ভরত শেট্টি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা শরণ পাম্পওয়েলরা।
[আরও পড়ুন: উল্টোডাঙা থেকে বিভিন্ন রুটের অটো বন্ধ, সপ্তাহের শুরুতে ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা]
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক ভরত শেট্টি জানান, “আগামী ২৫ তারিখ মসজিদ চত্বরে আমরা বিশেষ উপাচার থাম্বুলা পারশনা করতে চলেছি। উপাচার শেষ হলে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারব। তার পরই বিষয়টি নিয়ে আদালতে দ্বারস্থ হব আমরা।” তবে এলাকাটি পুলিশ সিল করে দিয়েছে বলে খবর। সেক্ষেত্রে ধর্মীয় উপাচার করা হবে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়।
দক্ষিণ কানাড়ার ডেপুটি কমিশনার রাজেন্দ্র কে ভি আমজনতার কাছে ওই ধর্মীয়স্থানের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, আমি পুরো বিষয়টির খবর পেয়েছি। ভূমি দপ্তর জমিটির মালিকানার ইতিহাস খতিয়ে দেখছে। আমি ওয়াকফ বোর্ড এবং হিন্দু মন্দিরের দাবিদার, দু’ পক্ষের সঙ্গেই কথা বলব। পুরো বিষয়টা শুনব।” ডেপুটি কমিশনার আরও জানিয়েছেন, “সবপক্ষের কথা শুনে দ্রুত পদক্ষেপ করবে প্রশাসন। ততদিন এলাকায় স্থিতাবস্থা বজায় থাকুক।”