সুমন করাতি, হুগলি: বড়দিনের সকালে ফের বকেয়া বেতনের দাবিতে পথ অবরোধ হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের। পূর্ব প্রতিশ্রুতি মতো মঙ্গলবার তাঁদের বেতন হওয়ার কথা ছিল। কর্মীদের দাবি, বুধবার সকাল পর্যন্ত টাকা ঢোকেনি। সেই কারণে পিপুলপাতি মোড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ও উপ-পুরপ্রধান পার্থ সাহা। দুপুরের মধ্যে টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন অস্থায়ী কর্মীরা।
কুড়ি দিন আগে দুমাসের বেতন বকেয়া থাকার অভিযোগে আন্দোলন শুরু করেন অস্থায়ী কর্মচারীরা। পুরসভার আয়ের সমস্যা থাকায় বেতন দিতে অসুবিধা হচ্ছে বলে জানায় পুরসভা কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, বেতনের জন্য পুরসভার খরচ হয় দেড় কোটি টাকা। তবে আয় ৮০ লক্ষ টাকার আশেপাশে। তাই বেতনের সমস্যা হচ্ছে। সমস্যায় হস্তক্ষেপ করে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাস। রাজ্য সরকারের তরফে তিন কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়। সেই টাকায় কর্মীদের বকেয়া বেতন মেটানোর আশ্বাস দেয় পুরসভা।
মঙ্গলবার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও, বুধবার সকালেও কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতন না আসায় ক্ষোভ চরমে ওঠে। অস্থায়ী কর্মীরা জানান, তাঁদের পরিবার আর্থিক সংকটে জর্জরিত। সংসার চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে তাঁরা প্রতিবাদে নেমেছেন। অস্থায়ী কর্মচারীদের প্রতিনিধি রাধেশ্যাম শঙ্খ বণিক ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, "পেটের জ্বালায় আমরা বাধ্য হয়েছি পথে নামতে। পরিবারের জন্য অন্নের সংস্থান করতে না পারায় আজ আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ব্যাঙ্কের সমস্যার দায় আমাদের নয়। বেতনের প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে।"
ঘটনাস্থলে গিয়ে বিধায়ক আশ্বাস দেন বেতন আজ বুধবারের মধ্যেই ঢুকে যাবে। আলোচনার শেষে অবরোধ তুলে নেন কর্মচারীরা। পাশাপাশি, বিধায়ক প্রতিশ্রুতি দেন কর্মচারীদের কাটছাঁট করা নদিনের বেতনও ফিরিয়ে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, বিক্ষোভ চলাকালীন অনেকের মোবাইলে বেতন ঢোকার ম্যাসেজ এসেছে।