সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপ জয়ের পর শচীনকে কাঁধে তুলে নাচছেন সতীর্থরা। শচীনের বাঁহাতে ধরা জাতীয় পতাকা আকাশে উড়ছে। মাঠের হাজার হাজার ওয়াটের সার্চ লাইটে ধরা পড়ছে আপ্লুত শচীনের হাসি মাখা মুখ। সেই বিশেষ ছবি কুড়ি বছরের সেরার সন্মান পেল। সোমবার ২০১৯ সালের লরিয়াস ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়া হল। সেখানে সেরা ক্রীড়া মুহূর্তের (Laureus Sporting Moment ) সম্মান পেলেন মাস্টার ব্লাস্টার। বার্লিনের অনুষ্ঠানে শচীনের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ ওয়া। ছিলেন প্রাক্তন টেনিস তারকা বরিস বেকারও। সেরার লড়াইয়ে অন্যদের থেকে অনেক বেশি ভোট পেয়ে শচীন বাজি জিতলেন। মঞ্চে তাঁর নাম ঘোষণা করেন বেকার।
[আরও পড়ুন: লোধার সুপারিশকে গুরুত্ব নয়! পুরনো রীতি মেনেই নির্বাচক বাছাই করবে বিসিসিআই]
পুরস্কার হাতে নিয়ে আজকের শচীন(Sachin Tendulkar) মুহূর্তের জন্য দশ বছর আগে ওয়াংখেড়ের সেই রাতে ফিরে গেলেন। বললেন,“বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্ত ভুলতে পারিনি। কী করে পারব! যা হাতে নেওয়ার জন্য ২২ বছর ধরে ছুটেছি, সেটা যখন হাতে এল, তখন কী যে হয়েছিল তার ব্যাখ্যা আজ দিতে পারব না। এমন দিন মানুষের জীবনে বেশি আসে না। যখন আসে তখন কোথা থেকে কী যে হয়ে যায় তা ভাষায় ব্যাখ্যা দেওয়া যায় না। ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছি সাত বছর আগে। তবু আজও যখন টিভিতে সেদিনটা আনি, তখনও শরীরের মধ্যে একইরকম উত্তেজনা অনুভব করি।”
[আরও পড়ুন: লাগাতার ব্যর্থতার জের! দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়কত্ব ছাড়লেন ডু প্লেসি]
ওয়াংখেড়ের স্মৃতিচারণায় মাস্টার ব্লাস্টার বলেন, “১৯৮৩ সালে আমার বয়স তখন ১০। সেই বছরই ভারত বিশ্বকাপ জিতেছিল। ওই বয়সে বিশ্বকাপ জেতার তাৎপর্য আমি বুঝতে পারিনি। কী যে সব হচ্ছিল বুঝতে পারছিলাম না। পরে শুনি। ভিডিওতে দেখি। সেদিন থেকে ব্যাপারটা মনের মধ্যে ধাক্কা দিতে শুরু করে। আমাকেও একদিন বিশ্বকাপ জিততে হবে। ’৯২ থেকে শুরু করে ২০০৭ পর্যন্ত ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই পাইনি। একসময় মনে হয়েছিল, আমার কাপ জেতা আর হবে না। কিন্তু চার বছর পর সতীর্থরা আমাকে যা দিল, তা কোনদিন ভুলতে পারব না। যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন ওয়াংখেড়ের রাত আমার সঙ্গে থাকবে।” তবে শুধু শচীন নয়, সেই ফ্রেম ভারতীয় ক্রিকেটের অবিস্মরণীয় মুহূর্তের মধ্যে অন্যতম। যা আপামর ক্রিকেট মহলের মনে অক্ষয় হয়ে থাকবে।
The post ২০ বছরের সেরা মুহূর্ত! সম্মানিত ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপ জয়ের এই ছবি appeared first on Sangbad Pratidin.