shono
Advertisement

Breaking News

ফের চরমে পাইলট এবং গেহলট শিবিরের দ্বন্দ্ব! রাজস্থানে দুশ্চিন্তা শুরু কংগ্রেসের

জিতিন প্রসাদের দলত্যাগের পর থেকেই পাইলটকে নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।
Posted: 09:41 AM Jun 13, 2021Updated: 12:25 PM Jun 13, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দশমাস আগে যে মহানাটক রাজস্থান দেখেছে। সেই নাটকেরই কি পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে? ফের শচীন পাইলট এবং অশোক গেহলটের (Ashok Gehlot) মধ্যে অশান্তি শুরু হতে চলেছে? মরুরাজ্যের আনাচে-কানাচে এখন তেমনই জল্পনা। যা পরিস্থিতি, তাতে কংগ্রেস শিবির রীতিমতো আতঙ্কিত। যে কোনও সময় ফের গোঁসা করতে পারেন শচিন পাইলট, এমনটাই মনে করছে হাত শিবিরের একাংশ।

Advertisement

ব্যাপারটা কী? আসলে শচীন পাইলট দশমাস আগে কংগ্রেস (Congress) শিবিরে ফিরে আসার জন্য বেশ কিছু শর্ত দিয়েছিলেন। যা এখনও পূরণ হয়নি বলে দাবি তাঁর শিবিরের বিধায়কদের। সেসময় পাইলটের দাবি নিয়ে গেহলটের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছিল AICC’র তরফে। সেই কমিটিও এই বিবাদের কোনও সমাধান খুঁজে এনে দিতে পারেনি এখনও। যার জেরে পাইলট শিবিরের বিধায়কদের অস্থিরতা বাড়ছে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ প্রকাশ্যেই বলছেন, পাইলট (Sachin Pilot) সাহেবকে যোগ্য সম্মান দল দিচ্ছে না। পাইলট শিবিরের এক বিধায়ক পি আর মীনার বক্তব্য, সবাই অপেক্ষা করে আছে। হাইকম্যান্ডকে দ্রুত একটা সিদ্ধান্তে পৌছাতে হবে। পাইলট শিবিরের একাধিক বিধায়কদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী গেহলট তাঁদের শিবির বদলের জন্য চাপ দিচ্ছেন। এমনকী, তাঁদের ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে হলেও অভিযোগ উঠছে।

[আরও পড়ুন: বেসুরো দুই জোটসঙ্গী! বিহারে ‘নড়বড়ে’ নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন NDA সরকার]

তাৎপর্যপূর্ণভাবে পাইলট শিবিরের এই অস্থিরতা বেড়েছে আরেক তরুণ কংগ্রেস নেতা জিতিন প্রসাদের (Jitin Prasada) দলত্যাগের পর থেকেই। যদিও, প্রকাশ্যে শচীন পাইলট বা তাঁর অনুগামীদের কেউই দলত্যাগের কথা বলছেন না। তাঁদের দাবি, দলের অন্দরে থেকেই নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করতে চান তিনি। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী গেহলট কার্যত চুপ। তিনি পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। পাইলট শিবিরের বিধায়কদের নিজের শিবিরে টানার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগও উঠছে। এসবের মধ্যে আবার আসরে নেমেছে বিজেপি। রাজস্থানের বিজেপি সভাপতি সতীশ পুনিয়ার দাবি, ‘রাজ্যে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে।’ নতুন করে রাজস্থান কংগ্রেসে তৈরি হওয়া অশান্তি নিয়ে চিন্তায় AICC-ও। রাজস্থানের সমস্যা মেটানোর দায়িত্ব যার উপর দেওয়া হয়েছিল, সেই অজয় মাকেন বলছেন, খুব শীঘ্রই রাজ্য মন্ত্রিসভা এবং বিভিন্ন কমিটিতে যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে, সেগুলি পূরণ করা হবে। কিন্তু তাতে কি চিড়ে ভিজবে? পরিস্থিতি অন্তত সেকথা বলছে না। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement