নিরুফা খাতুন : কলকাতায় ফের ভয়াবহ আগুন। দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুর এলাকার একাধিক ঝুপড়িতে আগুন লাগে শনিবার সন্ধ্যায়। নিমেষে সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে দমকলের ১৬ টি ইঞ্জিন সেখানে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম।
গতকাল তপসিয়ার বস্তি ভয়াবহ আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। খোলা আকাশের নীচে বাস করছেন ঘর হারানো বাসিন্দারা। ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের কলকাতায় ভয়াবহ আগুন। দুর্গাপুর ব্রিজের নীচে থাকা ঝুপড়িতে ওই আগুন লেগেছে। লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধে সাতটার দিকে দুর্গাপুরের ব্রিজের নীচের ঝুপড়িতে আগুনের শিখা দেখা যায়। শীতের হাওয়ায় সেই আগুন নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে। ওই এলাকার পাশেই রয়েছে একটি বেসরকারি হাসপাতাল। ফলে সেই হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আগুন যাতে হাসপাতালের দিকে চলে যেতে না পারে, সেজন্যও ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়।
আগুন নেভাতে একে একে দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছতে শুরু করে। আগুন একসময় ব্রিজের অংশও ছুঁয়ে ফেলেছিল। আগুনের উত্তাপে ব্রিজের অংশ থেকে ধোয়া বার হতে থাকে। গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ব্রিজের নীচ দিয়ে গিয়েছে শিয়ালদহ-বজবজ শাখার রেললাইন। ঘটনাস্থলের অদূরেই নিউ আলিপুর রেল স্টেশন। আগুনের কারণে ওই শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নির্দিষ্ট নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে ফেলা হয় সাধারণ মানুষদের। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে চলে আগুন নেভানোর কাজ। ব্রিজের উপর থেকেই নীচে পাইপে করে জল দেওয়া চলে। ল্যাডার দিয়েও জল দেওয়া হয় আগুন নেভানোর জন্য। পাশাপাশি ঠান্ডা রাখতে ব্রিজেও জল দেওয়া হয়। ঝুপড়ি এলাকা থেকে একাধিক বিস্ফোরণের আওয়াজ আসে। অনুমান করা হয়, সেখানে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হতে থাকে। তার জেরে আগুনের তীব্রতা আরও বাড়ে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে সেনাবাহিনীও নামানো হয়। বিশাল পুলিশ বাহিনীও ঘটনাস্থলে রয়েছে।