shono
Advertisement

Breaking News

‘এই আশ্রয় শিবিরই হবে তোমাদের কবরস্থান’, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হুমকি জঙ্গি সংগঠনের

কাশ্মীরি পণ্ডিতরা আসলে মোদির বলির পাঁঠা, বলছে জঙ্গি সংগঠনটি।
Posted: 10:36 AM Dec 16, 2022Updated: 10:36 AM Dec 16, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপত্যকায় বসবাসকারী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandit) নিরাপত্তা নিয়ে ফের বড়সড় প্রশ্ন। এবার সরাসরি কাশ্মীরের সংখ্যালঘু হিন্দুদের খুনের হুমকি দিল জঙ্গি সংগঠন ‘কাশ্মীর ফাইট’। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি চিঠিতে এই নিষিদ্ধ সংগঠনটি লিখেছে, কাশ্মীরি পণ্ডিতরা যে আশ্রয় শিবিরগুলিতে বসবাস করছে, সেগুলিকে আমরা কবরখানা বানাব।

Advertisement

সন্ত্রাসবাদীদের ভয়ে ঘরছাড়া কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য উপত্যকায় ট্রানজিট কলোনি (Transit Colony) বা আশ্রয় শিবির তৈরি করছে প্রশাসন। সরকারের দাবি, এই আশ্রয় শিবিরগুলিতে নিরাপদে থাকতে পারবেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিন্‌হা (Manoj Sinha) কাশ্মীর উপত্যকার ঘরছাড়া পণ্ডিতদের জন্য বারামুলা এবং বান্দিপোরায় নির্মীয়মাণ দু’টি ট্রানজিট কলোনি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই শিবিরগুলিতে আশ্রয় নেওয়া সংখ্যালঘু হিন্দুদের খুনের হুমকি দিয়েছে ‘কাশ্মীর ফাইট’ নামের এই সংগঠনটি।

[আরও পড়ুন: রাতের আকাশে সফল উৎক্ষেপণ অগ্নি-৫-এর, আঘাত হানবে বেজিংয়েও!]

‘কাশ্মীর ফাইট’ নামের এই সংগঠনটির হুমকি, এই আশ্রয়স্থল বা শরণার্থী শিবিরগুলিকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কবরখানায় পরিণত করা হবে। কাশ্মীরি পণ্ডিতরা আসলে মোদির বলির পাঁঠা। সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে যদি তারা বিশ্বাস করে, তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। এই সরকারের প্রতিশ্রুতিতে ভেসে না যাওয়াই ভাল। কারণ সরকারের নোংরা রাজনীতি সবাই ধরে ফেলেছে। তাদের অভিযোগ, শরণার্থী হিন্দুদের আশ্রয়স্থল তৈরির নামে ইজরায়েলের মতো কৌশল নিয়েছে মোদির (Narendra Modi) সরকার। ঠিক যেভাবে গাজা ভূখণ্ড এবং ওয়েস্ট ব্যাংক এলাকায় ইহুদিদের জন্য শরণার্থী শিবির খোলা হয়, এখানেও তেমন হিন্দুদের জন্য শরণার্থী শিবির খোলা হচ্ছে। যারা এসবের সঙ্গে যুক্ত তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।

[আরও পড়ুন: ‘আগামী বছর ৫ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি হলেও কপাল ভাল’, মোদি সরকারকে তোপ রঘুরাম রাজনের]

বস্তুত, কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা খর্ব হওয়ার পর গত কয়েক বছরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ‘টার্গেট কিলিং’ বাড়ছে। ফলে আরও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উপত্যকার সংখ্যালঘুরা। কিন্তু এবার যেভাবে প্রকাশ্যে খুনের হুমকি এল, তাতে উপত্যকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা আরও বাড়ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement