সুকুমার সরকার, ঢাকা: আসছে শীত। করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বাংলাদেশেও। তা প্রতিরোধ করতে দেশের সব স্থল ও বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যপরীক্ষা চালু করতে উদ্যোগী হাসিনা সরকার। পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনের নিয়মও জোরদার করার তাগিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina)।
গণভবন থেকে রবিবার ভারচুয়াল মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধু যুব দিবস’-এর উদ্বোধন করে তিনি বলেন, ”এখন থেকে যাঁরাই দেশের বাইরে থেকে আসবে, তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে (Quarantine) রাখতে হবে। তাঁদের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে স্থল বন্দর – যে কেউ বাইরে থেকে প্রবেশ করতে গেলেই প্রথমে পরীক্ষা করতে হবে যে করোনা ভাইরাস নিয়ে কেউ দেশে ঢুকছে কিনা।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ”করোনার প্রভাব সব দেশে আবারও ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে। ইউরোপের অনেক দেশে ফের লকডাউন (Lockdown) হচ্ছে। তাই আমাদের সবাইকেও এখন সুরক্ষিত থাকতে হবে। আমাদেরও এখন সজাগ থাকতে হবে।”
[আরও পড়ুন: কাটছে না করোনা আতঙ্ক, বাংলাদেশে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধই স্কুল-সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান]
এদিকে, বাংলাদেশে করোনার কোপে চিকিৎসকদের মৃত্যু চিন্তা বাড়াচ্ছে। রবিবার অর্থাৎ নভেম্বরের প্রথম দিন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ১০০এ এসে দাঁড়িয়েছে। করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে বা করোনার উপসর্গ নিয়ে গত সাড়ে ৬ মাসে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, করোনায় দেশে প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছিল ১৫ এপ্রিল। ওই দিন মারা গিয়েছিলেন সিলেট এম এ জি ওসমানি মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈনউদ্দিন আহমেদ। তিনি করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়েই সংক্রমিত হয়েছিলেন। ঢাকার একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর খবরে চিকিৎসক সমাজ-সহ সাধারণ মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া। অনেকেই বলছেন, সংকটকালে অন্যদের বাঁচাতে গিয়েই নিজেদের জীবনে ছেদ পড়ছে তাঁদের।