অর্ণব দাস: একাধিকবার জেরার পর অবশেষে সিবিআইয়ের জালে মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। তা নিয়ে চতুর্দিকে জোর শোরগোল। অথচ তাপসের স্ত্রী নির্বিকার। দাবি, স্বামীর গ্রেপ্তারির কথা জানেনই না তিনি। শুধু তাই নয়, তাপস কী করতেন সে বিষয়েও নাকি পুরোপুরি অন্ধকারে ছিলেন তিনি।
তাপসের গ্রেপ্তারির পর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বারাসত পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাঠোর রোডের দেবীপুরের বাড়িতে যান। সেখানে শুধুমাত্র তাপস মণ্ডলের স্ত্রী সন্ধ্যারানি মণ্ডলকেই দেখতে পান তাঁরা। তবে ছেলে বা পুত্রবধূ কারও দেখা মেলেনি। তাপস ঘরনি সন্ধ্যা অবশ্য জানান, তিনি ছাড়া বাড়িতে আর কেউ নেই। স্বামীর গ্রেপ্তারির বিষয়ে, তাঁর কিছু জানা নেই বলেও দাবি করেন। তাপসের আয়ের উৎস ঠিক কী, তাও নাকি তাঁর অজানা। তাপসের স্ত্রীর দাবি, তিনি একজন ছাপোষা গৃহবধূ। বাড়ির কাজকর্ম নিয়ে দিনরাত ব্যস্ত থাকেন। এর বাইরে সেভাবে আর কিছুই খেয়াল রাখেন না। দীর্ঘদিন সংসারের পরেও স্বামীর কাজকর্ম সম্পর্কে কোনও তথ্যও জানেন না ওই মহিলা, তা আদৌ সম্ভব? নাকি স্বামীর গ্রেপ্তারির পর স্রেফ দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন তাপস ঘরনি? তিনি কী এভাবে কিছু লুকোতে চাইছেন, এমনই নানা প্রশ্নের জট।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের গ্রেপ্তার ২ এজেন্ট, এবার সিবিআইয়ের জালে তাপস ও নীলাদ্রি]
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তারির পরই সামনে আসে তাপস মণ্ডলের নাম। তারপর থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে তাপস। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। সরাসরি তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। ইডি’র চার্জশিটেও ছিল মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের নাম। কুন্তল এবং তাপসকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে আরও নানা তথ্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সে কারণে সিবিআই রবিবার তাপসকে দীর্ঘক্ষণ জেরার পর গ্রেপ্তার করে। তাপসকে জেরা করে সামনে আসে নীলাদ্রি ঘোষের নাম। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দু’জনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ করেছে সিবিআই। যদিও বরাবর তদন্তে সহযোগিতা করেছেন বলেই দাবি তাপসের। তারপরেও কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হল, সেই কারণ খুঁজেই পাচ্ছেন না ধৃত মানিক ঘনিষ্ঠ।