দীপঙ্কর মণ্ডল: কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) পরামর্শ মানল রাজ্য। নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত মানিক ভট্টাচার্য। বদলে দায়িত্ব পেলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য গৌতম পাল। আমূল বদল এল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাঠামোতেও। গৌতম পালের নেতৃত্ব তৈরি হল ১১ সদস্যের অ্যাড হক কমিটি।
টেট (Primary TET) -সহ একাধিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২০ জুন মানিক ভট্টাচার্য সরানোর পরামর্শ দিয়েছিল হাই কোর্ট। প্রাথমিকভাবে সেই দায়িত্ব সামলাতে বলা হয়েছিল সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে। এবার সেই পদে এলেন গৌতম পাল। গঠিত হল ১১ সদস্যের অ্যাড হক কমিটি।
[আরও পড়ুন; স্বামীর মৃত্যুর পর শাশুড়ির দায়িত্ব নেননি, বৃদ্ধার দায়ের করা মামলায় পুত্রবধূকে তলব বিচারপতির]
এই কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন অধ্যাপক তথা পুরাণবিদ ডা. নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, ভাষা শিক্ষাবিদ ডা. স্বাতী গুহ, স্কুল শিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়্যারম্যান অভীক মজুমদার, অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তীরা। পাশাপাশি, রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা, মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং উচ্চ শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানকেও অ্য়াড হক কমিটির সদস্য করা হয়েছে। রাজ্যের তিনটি স্কুলের তিন শিক্ষক-শিক্ষিকাও এই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।
[আরও পড়ুন; পুজোয় অনুদানের ২৫৮ কোটিতে কী কী উন্নতি হত রাজ্যে? হিসাব দিল BJP, পালটা জবাব তৃণমূলের]
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটে দুর্নীতির (Primary TET Scam) অভিযোগ উঠেছে। ২৬৯ জনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬ সালে একটি প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল। পরে ২০১৭ সালে আরও একটি প্যানেল প্রকাশিত হয়। সেই প্যানেলেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, পরীক্ষা না দিয়েই মিলেছে চাকরি। হাই কোর্টের নজরদারিতে মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। নিয়োগের ক্ষেত্রে মানিক ভট্টাচার্য একাধিক সুপারিশ করেছেন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে FIRও করেছে সিবিআই। এমনকী, তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে তাঁকে। আপাতত শ্রীঘরে পর্ষদের সভাপতি। এবার পদও খোয়ালেন তিনি।