সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুহার ভিতর থেকেই নোট পাঠালেন ফুটবল কোচ। গত দু’সপ্তাহ ধরে থাইল্যান্ডের একটি গুহায় আটকে রয়েছেন ফুটবলাররা। এখনও পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু বছর পঁচিশের এই ফুটবল কোচ সেই ফুটবলারদের অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। নৌসেনার সাহায্যে এই চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।
[ গুহায় আটকে ১২ জন খুদে ফুটবলার, উদ্ধারে গিয়ে মৃত থাই নৌসেনার প্রাক্তন কর্মী ]
শনিবার তাঁর এই চিঠি নৌসেনা প্রকাশ করেছে সোশাল মিডিয়ায়। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, সব কিশোররা সুস্থ রয়েছে। তিনি সবার খেয়াল রাখছেন। এরপরই সব অভিভাবকের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে সবার কাছে তাঁদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন। এছাড়া বেউ বলে একজন লিখেছে, তার বাবা আর মা যেন তাদের জন্য চিন্তা না করে। সে বাইরে এসে বাবা ও মা’কে দোকানে জিনিস বিক্রি করতে সাহায্য করবে। ডম নামে একজন লিখেছেন, তারা ভাল আছে। কিন্তু গুহার ভিতরের আবহাওয়া সামান্য ঠান্ডা।
প্রবল বর্ষণ ও আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ার জন্য তাদের উদ্ধার করতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া গুহার ভিতরে অক্সিজেনও কম। গুহায় আটতে পড়া জুনিয়র ফুটবল দলকে উদ্ধার করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে থাই নেভি সিলের প্রাক্তন এক কর্মীর৷ সেখানে আগে থেকেই অক্সিজেনের পরিমাণ কম ছিল৷ ফলে গুহার অন্দরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর৷ এরপর ফুটবলারদের উদ্ধার নিয়ে সংশয় আরও বেড়ে গিয়েছে।
[ বৃদ্ধাশ্রমে রাখতে চাওয়ায় ছেলেকে খুন করল মা ]
২৩ জুন গুহার ভিতরে ঢুকেছিল এই ফুটবল দলটি। তাদের সবার বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। তারপর জল বেড়ে যাওয়ায় গুহার ভিতরেই আটকে পড়ে তারা। অত্যন্ত কষ্টের মধ্যেই প্রায় দু’সপ্তাহ পরে জীবিত থাকতে দেখা যায় দলটিকে৷ গুহার বাইরে তাঁদের খেলার সরঞ্জাম পড়ে থাকতে দেখে প্রথমে সন্দেহ হয়৷ সেই সূত্র ধরেই দলটির খোঁজ মেলে গুহার অত্যন্ত গভীরে৷
এরপরেই উদ্ধারকার্যে নামে থাই নেভি সিল টিম৷ কিন্তু ক্রমাগত বৃষ্টির ফলে বাড়তে থাকে গুহার ভিতরের জলস্তর৷ এমনকি অক্সিজেনও কম থাকায়, কৃত্রিম ভাবে গুহার ভিতরে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাই প্রশাসন৷ সেনার অনুমান আটকে পড়া ফুটবল দলকে উদ্ধার করতে সময় লাগবে৷
সাঁতার কেটে তাদের গুহার বাইরে বের করে আনার কথা হচ্ছিল। কিন্ত সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, তারা এখনও তৈরি নয়।
The post ১৪ দিন আটকে গুহায়, ক্ষমা চেয়ে অভিভাবকদের চিঠি খুদে ফুটবলারদের কোচের appeared first on Sangbad Pratidin.