shono
Advertisement

Breaking News

বয়সের ভারে ন্যুব্জ, ভার বহনের কাজে চিরতরে ইতি লছমন ঝুলার

দেবভূমের ঐতিহ্যবাহী সেতু বন্ধ হওয়ায় মনখারাপ পর্যটকদের৷ The post বয়সের ভারে ন্যুব্জ, ভার বহনের কাজে চিরতরে ইতি লছমন ঝুলার appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 05:44 PM Jul 14, 2019Updated: 05:44 PM Jul 14, 2019

সংবাদ প্রতিদিনি ডিজিটাল ডেস্ক: বয়সের ভারে ন্যুব্জ৷ চিকিৎসা করালেও সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ বুক পেতে যাতায়াতকারীদের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত পারাপারের কাজ করা অসম্ভব৷ তাই কাজ থেকে পুরোপুরি ছুটি নিল সুপ্রাচীন লছমন ঝুলা৷ যানবাহন তো দূর অস্ত,  ঐতিহ্যবাহী সেতু দিয়ে সাধারণ মানুষও যাতায়াত করতে পারবেন না৷ একথা শোনামাত্র স্মৃতিমেদুরতায় ভুগছে পর্যটকদের দল৷ যাঁরা লছমন ঝুলায় ঘুরে এসেছেন, তাঁরাও৷ আর যাঁদের এখনও যাওয়া হয়নি, তাঁদের আক্ষেপ সীমাহীন৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: চন্দ্রযানের সাফল্য কামনা, ঐতিহ্য মেনে মন্দিরে পুজো রাষ্ট্রপতি-ইসরো প্রধানের]

গঙ্গার উপর ঝুলন্ত লছমন ঝুলার মাহাত্ম্য তো বটেই, জনপ্রিয়তাও তুমুল। ৯৬ বছর ধরে অগণিত পুণ্যার্থী, পর্যটক সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করছেন। সেলুলয়েডেও জায়গা করে নিয়েছিল এই সেতু৷ কথিত রয়েছে, যেখানে সেতুটি রয়েছে ঠিক সেখান দিয়েই রামের ভাই লক্ষ্মণ গঙ্গা পার করেছিলেন। সেই অনুযায়ী ১৯২৩ সালে গঙ্গার উপর লছমন ঝুলা তৈরি করা হয়েছিল। উত্তরাখণ্ডের তেহরি জেলার তপোবন গ্রামের সঙ্গে পৌরি গাড়োয়াল জেলার জংকের সেতুবন্ধন করে লছমন ঝুলা৷ হরিদ্বার, ঋষিকেশের সঙ্গে লছমন ঝুলা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত৷ হরিদ্বার বেড়াতে গেলে প্রায় সকলেই লছমন ঝুলায় যান৷ হিন্দু তীর্থস্থানগুলির অন্যতম এটি। তার গা বেয়ে বয়ে গিয়েছে স্রোতস্বিনী গঙ্গা। অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগের জন্য ঋষিকেশে বেড়াতে এলে লছমন ঝুলা দেখেন না এমন মানুষ নেই বললেই চলে৷ 

দিনকয়েক আগে লছমন ঝুলার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন ইঞ্জিনিয়াররা৷ পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি নব্বইয়ের কোঠা পেরনো এই সেতু৷ দুর্ঘটনার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন ইঞ্জিনিয়াররা৷ তাই প্রশাসনের তরফে অল্প সময়ের নোটিসেই লছমন ঝুলার উপর দিয়ে সাধারণ মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ খুব শীঘ্রই ঝুলন্ত সেতুকে সুস্থ করে তোলার জন্য মেরামতি করা হবে বলেও প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন৷

তবে পরীক্ষানিরীক্ষার পর ইঞ্জিনিয়াররা জবাব দিয়েছেন৷ আর কোনওভাবেই সুস্থ করা যাবে না ঐতিহ্যবাহী সেতুকে৷ তার পরিবর্তে পাশ দিয়ে একটি সেতু তৈরি করে দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত৷ তাই এবার থেকে আর ঐতিহ্যমণ্ডিত লছমন ঝুলার ঠাঁই হবে শুধুমাত্র ইতিহাস আর পর্যটন পত্রিকার পাতায়৷ আর সেখান দিয়ে হাঁটা যাবে না! ভেবেই মনখারাপ পুণ্যার্থীদের৷

[ আরও পড়ুন: ভিডিও কল চলাকালীন হস্তমৈথুন যুবকের, পুলিশের দ্বারস্থ মহিলা চিত্রনাট্যকার]

The post বয়সের ভারে ন্যুব্জ, ভার বহনের কাজে চিরতরে ইতি লছমন ঝুলার appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement