সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানার নুহতে হওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ‘গোরক্ষক’ বিট্টু বজরঙ্গি। কিন্তু বুধবার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। অনেকেই মনে করছেন, বিট্টু জেলমুক্ত হওয়ায় নতুন করে গণ্ডগোল বাঁধার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
গত ১৫ আগস্ট নুহয়ের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় বিট্টু বজরঙ্গিকে। তাঁর গ্রেপ্তারির পর পুলিশ জানিয়েছিল, বজরঙ্গি ‘গোরক্ষা বজরং বাহিনী’র প্রেসিডেন্ট। ফরিদাবাদের তাউরুর তদন্তকারী দল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৮(দাঙ্গা), ১৪৯(বেআইনি জমায়েত), ৩২২(আঘাত করা)-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। পাঠানো হয়েছিল চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতে। এরপর বুধবার বজরঙ্গির জামিন মঞ্জুর করল হরিয়ানা আদালত।
উল্লেখ্য, বজরঙ্গি নিজেকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য বলে দাবি করলেও ভিএইচপি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, ‘রাজ কুমার ওরফে বিট্টু বজরঙ্গি যে নিজেকে বজরং দলের কর্মী বলছে তাঁর সঙ্গে দলের কোনওদিন কোনও সম্পর্ক ছিল না। যে সব ভিডিও বিট্টু প্রকাশ করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তা সমর্থন করে না।’
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে রামলীলা ময়দানে ধরনা তৃণমূলের, অনুমতি দিল না দিল্লি পুলিশ]
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই বিজেপিশাসিত হরিয়ানার নুহ-তে ‘ব্রিজ মণ্ডল জলাভিষেক যাত্রা’র আয়োজন করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। গুরুগ্রাম-আলোয়ার হাইওয়ের মিছিলে বাধা দেয় একদল যুবক।তারা মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ। তার জেরেই তুমুল অশান্তি শুরু হয়। গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটে। হামলা চালানো হয় ধর্মীয় স্থানেও। এই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ছ’জনের।
গত মাসের এই ঘটনার পর হিংসাবিধ্বস্ত নুহ-তে গত সোমবার ফের শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। যদিও মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ফের হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কায় বিশাল নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা হয় গোটা জেলা জুড়ে। তিনদিনের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক বন্ধ ছিল শোভাযাত্রার দিন। বাইরে থেকে নুহ-তে ঢোকাও নিষিদ্ধ করে প্রশাসন। তবে আশঙ্কা থাকলেও মিছিল চলাকালীন কোনও অশান্তি ছড়ায়নি।
[আরও পড়ুন: পক্ষে দেশের ৮০ শতাংশই! সমীক্ষায় ‘মোদিময়’ ভারত]