প্রসূন চক্রবর্তী: গল্প আছে চন্দ্র দেবতা এবং এক রূপসী ব্রাহ্মণকন্যা হেমবতীর মিলনে এক পুত্র জন্মায়৷ নাম দেওয়া হয় চন্দ্রবর্মন৷ এই চন্দ্রবর্মনের হাতে চান্দেলা রাজবংশের জন্ম৷ খাজুরাহো ছিল চান্দেলা রাজপুত রাজাদের রাজধানী৷ চন্দ্রবর্মনের হাতে শুরু হয়ে শতাধিক (৯৫০-১০৫০ থ্রি) বছর ধরে বংশের নানা রাজারকালে বেলেপাথরের ৮৫টি মন্দির গড়ে ওঠে খাজুরাহোয়৷ তৈরি হয়েছে সৃষ্টিরক্ষার দেবতা বিষ্ণু ও সৃষ্টি ধ্বংসের দেবতা শিবের এইসব মন্দির৷
কী কী দেখবেন –
বেলেপাথরে গড়া খাজুরাহোর মন্দিরগুলি৷ অবস্থান হিসাবে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে খাজুরাহোর মন্দিররাজি–ওয়েস্টার্ন, ইস্টার্ন ও সাদার্ন৷
- অনবদ্য লক্ষ্মণ- পশ্চিমের মন্দিররাজি ১২টি মন্দির নিয়ে৷ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত খোলা থাকে এই মন্দির৷ মিথুন মূর্তির আধিক্য ঘটেছে লক্ষ্মণ মন্দিরের নিম্নভাগে৷
- যুদ্ধ জয়ের স্মারক- রয়েছে ৩১ মিঃ উঁচু শিখরওয়ালা কাণ্ডারীয় মহাদেব মন্দির৷ খাজুরাহোর বৃহত্তম আর উচ্চতমও বটে মামুদ অব গজনির সাথে যুদ্ধজয়ের স্মারক রূপে ১০৩০-এ মহারাজা বিদ্যাধরের তৈরি কান্ডারীয় মন্দির৷
- পান্নার শিব- জগদম্বা থেকে সামান্য উত্তরে পুবমুখী চিত্রগুপ্ত অর্থাৎ সূর্য মন্দির৷ অর্ধমণ্ডপ, মহামণ্ডপ, অন্তরাল ও সভাগৃহ–চার স্তরে তৈরি মন্দিরের ভাস্কর্য সুন্দর৷ সিলিং-এর অলঙ্করণে অভিনবত্ব আছে৷
- দুলাদেও- দুলাদেও অর্থাৎ নববধূ৷ দুলাদেও আর চতুর্ভুজ এই দুই মন্দির নিয়ে দক্ষিণমন্দির গোষ্ঠী৷ মেইন স্কোয়ার থেকে দেড় কিমি দক্ষিণে দুলাদেও মন্দির৷
কীভাবে যাবেন –
খাজুরাহো যেতে হলে নামতে হবে এলাহাবাদ-মুম্বই রেলপথে সাতনা স্টেশন৷ এলাহাবাদ থেকে মুম্বইগামী প্রতিটি ট্রেন সাতনা হয়ে যায়৷ সাতনা থেকে খাজুরাহো ১১৭ কিমি৷ বাসে সময় লাগে ৪ ঘণ্টা৷ শ’পাঁচেক টাকায় ট্যাক্সিও যায় সাতনা থেকে খাজুরাহোয়৷ এছাড়াও রাজ্য ও প্রতিবেশী রাজ্যের থেকে বাস যায় খাজুরাহোয়৷
কোথায় থাকবেন –
খাজুরাহোতে থাকার জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রচুর হোটেল রয়েছে৷ খাজুরাহোর এসটিডি কোড ০৭৬৮৬৷
The post খাজুরাহোর শিল্প রহস্য appeared first on Sangbad Pratidin.