সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিষ্ণুপুরাণ অনুযায়ী, ঋষি কশ্যপ ও তাঁর স্ত্রী দীতির দুই সন্তান ছিল। তাঁরা হিরণ্যকশিপু ও হিরণ্যাক্ষ। দুই ভাই ভগবান ব্রহ্মাকে সন্তুষ্ট করার জন্য কঠোর তপস্যা শুরু করেন। ব্রহ্মার অভয়ও লাভ করেন তাঁরা। দুই ভাইকে কোনও সুর বা অসুর, অস্ত্র, রাতে অথবা দিনে, মাটি অথবা শূন্যে হত্যা করতে পারবেন না বলে সৃষ্টিকর্তা বর দেন। এই বর পেয়েই অত্যাচারী হয়ে ওঠেন দুই ভাই। হিরণ্যকশিপুর সন্তান প্রহ্লাদ বিষ্ণুভক্ত হওয়ায় তাঁকেও হত্যার চেষ্টা করেন তিনি। সংসারে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিষ্ণু বরাহ অবতার ধারণ করে হত্যা করেন হিরণ্যাক্ষকে। এর পর নরসিংহ অবতারে আবির্ভূত হয়ে হিরণ্যকশিপুকে হত্যা করেন বিষ্ণু। রক্ষা পায় জীবকুল। সেই থেকে পালন করা হয় নৃসিংহ চতুর্দশী বা নরসিংহ জয়ন্তী।
এবছর কবে পড়েছে নৃসিংহ চতুর্দশী ?
বাংলা তথা দেশের হিন্দুদের কাছে নরসিংহ জয়ন্তী (Narasimha Jayanti) পবিত্র তিথি। বৈশাখ মাসে শুক্লপক্ষের বৈশাখী চতুর্দশীতে পালন করা হয় নরসিংহ জয়ন্তী বা নৃসিংহ চতুর্দশী। কিন্তু চলতি বছরের বৈশাখ মাস নয় জৈষ্ঠ্য মাসে পালন করা হবে এই জয়ন্তী। ২২ মে পালন করা হবে নৃসিংহ চতুর্দশী। ২১ মে সন্ধ্যা ৫টা বেজে ৩০ মিনিটে চতুর্দশী লাগবে। চতুর্দশী শেষ হবে ২২ মে সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৫৬ মিনিটে।
[আরও পড়ুন: সরকারি বাস উলটে অঘটন, শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে কলকাতার ২ মহিলার মৃত্যু]
কেন নরসিংহ জয়ন্তী পালন করা উচিত?
হিন্দু শাস্ত্রমতে, নরসিংহ জয়ন্তীর দিন উপবাস করলে জীবনের জটিলতা, সমস্যা, দূর হয়ে সফলতার দেখা পাওয়া যায়। বিভিন্ন অচলাবস্থা কেটে জীবনে শান্তি ফিরে আসে। সঙ্গে দেবী লক্ষ্মীরও পুজো করেন অনেকে। নৃসিংহ দেবের আশীর্বাদে সব বাধা বিপদ কাটিয়ে জীবনকে আরও বেশি সুন্দর ও সহজ করে তোলা যায়।
নরসিংহ জয়ন্তীর মূল উদ্দেশ্য:
হিংসা থেকে বিশ্ব সংসারকে মুক্ত করে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চতুর্থ অবতারে এসেছিলেন বিষ্ণু। এই চতুর্দশীতে সূর্যাস্তের সময় তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন, সেই কারণে এই সময়ে বিশেষভাবে পুজো-অর্চনা করা হয়। যার ফলে অধর্মকে দূরে রেখে ধর্মের পথে চলা সম্ভব হয়ে ওঠে। অন্য কারও ক্ষতি না করাই হল নরসিংহ জয়ন্তীর মূল উদ্দেশ্য।