স্টাফ রিপোর্টার: চলতি বছরও হতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতামান নির্ণায়ক টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট)। গতবারের মতোই এবারও কোন বিষয়ে কত নম্বরের প্রশ্ন আসবে, বিষয়ভিত্তিক পাঠ্যক্রম ও প্রশ্নপত্রের ধরন কেমন হবে, তা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই অনুযায়ী, মোট দেড়শো নম্বরের এই পরীক্ষা হবে পাঁচটি বিষয়ের উপর। প্রতিটি থেকে আসবে ৩০ নম্বরের প্রশ্ন। গোটা পরীক্ষাটিই এমসিকিউ ভিত্তিক। দেড়শো নম্বরের জন্য ১৫০টি করে এমসিকিউ থাকবে। অর্থাৎ প্রতিটি বিষয় থেকে এক নম্বরের ৩০টি করে এমসিকিউ আসবে। ভুল উত্তর দেওয়ার জন্য কাটা হবে না কোনও নম্বর।
আগামী ১০ ডিসেম্বর হতে চলা এই পরীক্ষাটি বেলা ১২টা থেকে শুরু হয়ে চলবে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত। মোট আড়াই ঘণ্টার পরীক্ষা। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষা ছাড়া প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নাবলিই থাকবে দুটি ভাষায়, ইংরেজি ও বাংলা। এবারও চাইল্ড ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড পেডাগগির উপর ৩০ নম্বর থাকছে। এদিকে পরীক্ষার্থীদের জন্যও বেশ কিছু নিয়মাবলি প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, অ্যাডমিট কার্ড ছাড়া প্রার্থীর পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। প্রত্যেক প্রার্থীর রোল নম্বর অনুসারে একটি করে আসন বরাদ্দ করা হবে। প্রার্থীদের সেই আসনেই বসে পরীক্ষা দিতে হবে। নির্ধারিত আসন বা পরীক্ষার কক্ষ পরিবর্তন করলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থীপদ বাতিল করা হবে। পরীক্ষা শুরুর দুই ঘণ্টা আগে পৌঁছতে হবে প্রার্থীদের। পরীক্ষা শুরুর পর কোনওভাবেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো প্রার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না।
[আরও পড়ুন: প্রতিমা নিরঞ্জনে বাড়তি সতর্কতা, দশমীতে ঘাটে ঘাটে নজরদারি]
এ ছাড়া, কোন কোন সামগ্রী নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা যাবে না সেই তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে, কোনও লিখিত কাগজ (ছাপা বা হাতে লেখা), কাগজের টুকরো, জিওমেট্রি বা পেনসিল বক্স, প্ল্যাস্টিক পাউচ, ক্যালকুলেটর, স্কেল, লেখার প্যাড, পেন ড্রাইভ, রবার, লগ টেবিল, বৈদ্যুতিন পেন বা স্ক্যানার, কার্ডবোড, মোবাইল, ব্লু-টুথ, ইয়ারফোন, মাইক্রোফোন, পেজার, হেল্থ ব্যান্ড, যে কোনও ধরনের ঘড়ি বা হাতঘড়ি, ক্যামেরা, ওয়ালেট, গগলস, হ্যান্ডব্যাগ, গহনা, অথবা এমন কোনও সামগ্রী যা অসৎ উপায় অবলম্বন করায় সাহায্য করতে পারে বা যোগাযোগের যন্ত্র যেমন ক্যামেরা, ব্লু-টুথ লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। ইনভিজিলেটরের বিশেষ অনুমতি ছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন কোনও প্রার্থী নিজের আসন বা পরীক্ষার রুম ছেড়ে বেরোতে পারবেন না। চা, কফি, কোল্ড ড্রিঙ্ক বা স্ন্যাকস জাতীয় কিছু নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা যাবে না বা খাওয়া যাবে না।
পরীক্ষায় মোট ১৫০ নম্বরের মধ্যে ৬০ শতাংশ নম্বর পাওয়া প্রার্থীকে টেট উত্তীর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হবে। সংরক্ষিত বিভাগের প্রার্থীদের জন্য এক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ছাড় রয়েছে। অর্থাৎ, ৫৫ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেলেই টেট উত্তীর্ণ হিসাবে তাঁদের গণ্য করা হবে। তবে, টেট উত্তীর্ণ মানেই চাকরি নয়, তা আবারও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। কারণ, টেট উত্তীর্ণ হওয়া নিয়োগের জন্য নির্ধারিত যোগ্যতার মানদণ্ডগুলির মধ্যে একটি মাত্র। টেটের সার্টিফিকেটের বৈধতা সারাজীবন থাকবে। আবার ২০২৩ সালের উত্তীর্ণরা চাইলেই ভবিষ্যতে যে কোনও প্রাথমিক টেট-এ অংশগ্রহণ করতে পারবেন। একজন প্রার্থী কতবার টেট-এ অংশগ্রহণ করতে পারবেন, তা নিয়ে কোনও বাধা নেই।