shono
Advertisement

SSKM হাসপাতালের শৌচাগারে মিলল ক্যানসার রোগীর ঝুলন্ত দেহ, প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা

চার মাস ধরে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল মৃতের।
Posted: 08:20 PM Nov 06, 2020Updated: 08:20 PM Nov 06, 2020

অভিরূপ দাস: এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালের মেন ব্লকের কার্জন ওয়ার্ডের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হল ক্যানসার আক্রান্তের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, ৪১ বছরের ওই ব্যক্তির নাম বিশ্বজিৎ নস্কর। তিনি অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর বাড়ি হাওড়ায়। বিগত কয়েক মাস ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর।

Advertisement

শুক্রবার ভোরে রোগীর বেড খালি দেখে সন্দেহ হয় হাসপাতালের নার্স এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের। প্রথমটায় আন্দাজ করা হয় হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। চারিদিকে তাঁর খোঁজ পরে যায়। হাসপাতালের কিছু কর্মী জানান ওই ওয়ার্ডের শৌচাগারের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। বারংবার সেই দরজায় ধাক্কা দিয়েও লাভ হয়নি। অবশেষে দরজা ভেঙে দেখা যায় শৌচাগারে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন বিশ্বজিৎ। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। গোটা ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়দের ভূমিকা নিয়ে। কীভাবে একজন রোগী শৌচালয়ে গিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন?

[আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে ভাববেন না, নিজেদের কাজ করুন’, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নির্দেশ অমিত শাহর]

এসএসকেএম সুপার ডা. রঘুনাথ মিশ্র জানিয়েছেন, সরকারি হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী মুমূর্ষু রোগীর সঙ্গে বাড়ির লোক থাকা বাধ্যতামূলক। ক্যানসার আক্রান্ত ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর ভায়রাভাই ছিল। সকালে যে সময় উনি আত্মহত্যা করেন, সে সময় পাশের বেডেই থাকার কথা আত্মীয়র। কেন বিষয়টি তার নজরে এল না সে নিয়ে ওনাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। সুপার জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি মাদকাসক্ত ছিল। চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান ক্রনিক, মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা মাদক না পেয়ে অবসাদে ভোগেন। ওই ব্যক্তিরও তাই হয়েছিল। পরিবারের লোকেদের দাবি, ক্যানসার ধরা পরার পরে মুষড়ে পড়েছিলেন বিশ্বজিৎ। সকলের নজর এড়িয়ে কীভাবে ওই রোগী শৌচাগারে গেলেন, তা খতিয়ে দেখছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ।

[আরও পড়ুন: অনুপ্রেরণা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, ক্যানসার এড়াতে স্তন বাদ দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের মৌসুমী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement