সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের পিছিয়ে গেল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অর্থাৎ CAA কার্যকর করার প্রক্রিয়া। নতুন আইনের বিধি প্রণয়নে আরও ৬ মাস সময় চাইল কেন্দ্র। যার অর্থ, বিল পাশ হওয়ার প্রায় দু’বছর পরও বিতর্কিত এই আইন চালু করতে পারল না কেন্দ্রের মোদি (Narendra Modi) সরকার।
কবে কার্যকর হবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন? সরকার কি এই বিতর্কিত আইন কার্যকর করার ডেডলাইন মিস করেছে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে (Home Ministry) এই প্রশ্ন করেছিলেন অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। তাঁর প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই (Nityananda Rai) জানিয়েছেন, এই আইনের বিধি প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটিকে আগামী বছর ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর। গতবছর ১০ জানুয়ারি এই আইন কার্যকর হয়েছে। তবে, এর বিধি প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটিকে আগামী বছর ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। যার অর্থ, বিতর্কিত এই আইন কার্যকর হওয়া আরও ৬ মাস পিছিয়ে গেল।
[আরও পড়ুন: ৪ বছর পর সরল মোদি-শাহর পোস্টার, মুকুল রায়ের দিল্লির বাড়ির সামনে Mamata’র কাটআউট]
গত প্রায় দু’বছর ধরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতির জন্য এই আইন কার্যকর করা যায়নি। ভ্যাকসিন এলে এই আইন কার্যকর করা হবে। সেই করোনাকে অজুহাত করেই কেন্দ্র আরও ছ’মাসের জন্য বিতর্কিত আইনের বিধি প্রণয়নের প্রক্রিয়া থামিয়ে দিল। আসলে, এই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এই মুহূর্তে কেন্দ্রের জন্য শাঁখের করাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইন কার্যকর হলে ভোটের আগে বাংলার মতুয়াদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হবে। আবার সেটা করতে গেলে অসমের ভূমিপুত্রদের রোষানলে পড়তে পারে গেরুয়া শিবির। যার প্রভাব পড়তে পারে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে। এই দোটানায় আরও কিছুদিন বিতর্কিত আইনের বিধি প্রণয়নের প্রক্রিয়া স্থগিত করে দিতে বাধ্য হল কেন্দ্র। তাছাড়া, আইন পাশ হওয়ার সময়ও এ নিয়ে প্রচুর বিক্ষোভ হয়েছে। বিধি প্রণয়নের পরও সেই ধরনের বিক্ষোভের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।