সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশের নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন শাসকদলের অন্দরের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসছে। একের পর এক নেতারা দলের বিরুদ্ধেই উগরে দিচ্ছেন ক্ষোভ। যার প্রভাব একুশের নির্বাচনে ভাল মতোই পড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে বিরোধীদের এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণেই ভোটের আগে নিজেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাবেন তিনি। চেষ্টা করবেন সামর্থ্য মতো রাজ্যবাসীর পাশে থাকার। এছাড়াও একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের।
জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১১ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত বঙ্গধ্বনি যাত্রা করবে তৃণমূল। বিধায়করা পৌঁছে যাবেন মোট ৪২ হাজার ৬০০ গ্রামে। সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। জানবেন সমস্যা। ৬ ডিসেম্বর ব্লকে ব্লকে পালিত হবে সংহতি দিবস। কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে ৮ ডিসেম্বর জেলা সদরে হবে কৃষক শ্রমিক বিক্ষোভ। একুশের ভোটকে পাখির চোখ করে ৭ ডিসেম্বর থেকে জনসভা শুরু করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ৭ ডিসেম্বর যাবেন পশ্চিম মেদিনীপুরে। শুভেন্দু ইস্যুকে কেন্দ্র করে বর্তমানে আলোচনার শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর। অনেকেরই ধারণা, শুভেন্দুকে ছাড়া পূর্ব মেদিনীপুরে লড়াই করা কঠিন হতে পারে শাসকদলের জন্য। চাপ বাড়তে পারে পশ্চিমেও। ৮ তারিখ রানিগঞ্জে সভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ৯ ডিসেম্বর সভা বনগাঁয়।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতার নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার, পশ্চিম মেদিনীপুরে চরমে তৃণমূলের কোন্দল]
এরপর উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৫ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার বা পার্শ্ববর্তী এলাকা সভা করবেন তিনি। ১৬ ডিসেম্বর যাবেন কোচবিহারে। শেষ পাওয়া খবর অনুয়ায়ী, কোচবিহারের সভা সেরে দক্ষিণবঙ্গ ফিরবেন তিনি। উল্লেখ্য, মিহির গোস্বামীর দলবদল, শুভেন্দু অধিকারীকে টানাপোড়েন, এছাড়াও একাধিক বিধায়ক পিকে, দলের নেতাদের নিয়ে একাধিকবার বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। যার ফলে বারবার প্রকাশ্যে এসেছে দলের অন্তবর্তী সমস্যা। আর তাকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে পদ্মশিবির। শক্তহাতে দল সামলাতে প্রস্তুত তৃণমূল সুপ্রিমোও।