সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোজভ্যালি (Rosevalley)) চিটফান্ড কাণ্ডে এবার সাজা ঘোষণার পালা। সংস্থার এক আধিকারিক অরুণ মুখোপাধ্যায়কে সাত বছরের কারাবাসের সাজা দিল নগর দায়রা আদালত। সেইসঙ্গে আড়াই লক্ষ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাবন্দি থাকতে হবে তাঁকে। এই প্রথমবার রোজভ্যালি সংস্থার একাধিক মামলার মধ্যে একটিতে সাজা ঘোষণা হল।
ভুয়ো সংস্থার আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলা চলছিল রোজভ্যালির। শেয়ার ডিবেঞ্চার সংক্রান্ত একটি মামলায় সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু-সহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রায় ১৩ কোটি টাকা আর্থিক তছরূপের মামলার তদন্ত করছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। তাদের দেওয়া চার্জশিটে ছিল ৯ জনের নামই। এরপর চার্জ গঠনের সময়ে অন্যতম অভিযুক্ত সংস্থার আধিকারিক অরুণ মুখোপাধ্যায় নিজেই কেলেঙ্কারির দায় নিজের কাঁধে নেন। ফলে তিনি একাই দোষী সাব্যস্ত হন। শুক্রবার তাঁকে ৭ বছরের জন্য কারাবাসের সাজা শোনাল নগর দায়রা আদালত। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ইতিমধ্যে অরুণ মুখোপাধ্যায়ের ৪ বছর কারাবাসের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ফলে আর তিন বছর জেলে কাটাতে হবে তাঁকে।
[আরও পড়ুন: বাংলার বন্ধের জেরে সমস্যায় জনজীবন, দিনশেষে ক্ষমা চাইল সিপিএম]
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রোজভ্যালি-সহ অন্যান্য চিটফান্ড মামলার তদন্ত করছে ইডি, সিবিআই।বছরের শুরুতে রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী তথা সংস্থার অন্যতম শীর্ষ কর্তা শুভ্রা কুণ্ডুকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তিনি আপাতত ভুবনেশ্বরে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। তাঁকে জেরা করেই সংস্থার এক ডিরেক্টর হাকিবুল রহমানের বিষয়ে বেশ কিছু গোপন তথ্য হাতে আসে গোয়েন্দাদের। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই সাউথ সিটিতে তাঁর একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সেখান থেকে বেশ কিছু নথি জোগাড় করেছেন গোয়েন্দারা বলেই খবর। সূত্রের খবর, তল্লাশি অভিযানের সময় ফ্ল্যাটে ছিলেন না হাকিবুল। জানা গিয়েছে, চিটফান্ড কাণ্ডে টাকা পয়সার লেনদেন ও কে বা কারা এই টাকা নয়ছয়ে জড়িত, তা জানতে রীতিমতো তৎপর সিবিআই (CBI)। তবে বাংলায় নির্বাচনের আগে কয়লা পাচার থেকে শুরু করে চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থাটির অতি সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। এবার সাজা ঘোষণার ঘটনায় প্রমাণ, তদন্তের জাল গুটিয়ে আনতে সক্রিয় তদন্তকারীরা।