সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআইয়ের গৃহযুদ্ধের আগুনে জল ঢালতে এবার আসরে নামলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ বুধবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে পরিস্থিতি ধামাচাপা দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করেন জেটলি৷ স্বাধীন সংস্থা সিভিসি’র মধ্যমে গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে এদিন সরকারি ভাবে বিবৃতি দিয়ে জানান জেটলি৷ সিবিআইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা ফেরাতে সরকারি কোনও সংস্থা তদন্ত করবে না বলেও সাফাই দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘দোষ প্রমাণিত হবে, শাস্তি হবেই৷ কেউকেই ছাড় দেওয়া হবে না৷’’ মিনিট সাতেকের সাংবাদিক বৈঠক করতে গিয়ে একাধিকবার মেজাজ হারান জেটলি৷ সংবাদিকাদের তির্যক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন অর্থমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘দুই আধিকারিকই প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে৷ এই মুহূর্তে আমাদের প্রথম লক্ষ্য, সিবিআইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনা৷’’
[ফের এনকাউন্টার কাশ্মীরে, জওয়ানদের গুলিতে খতম ২ জঙ্গি ]
সরকারিভাবে কেন্দ্রের তরফে সাফাই পর্ব শেষ হতে না হতেই টুইট করে সিবিআইয়ের গৃহযুদ্ধের আগুনে ঘৃতাহুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দুই আধিকারিকের দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে প্রথম মুখ খুলে সিবিআইকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ নিজের টুইটার পেজে একযোগে বিজেপি ও সিবিআইকে আক্রমণ করে লেখেন, ‘‘সিবিআই এখন বিবিআই (বিজেপি ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) হয়ে গিয়েছে৷ এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক৷’’
তবে, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের দুই শীর্ষ কর্তার দ্বন্দ্ব নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেও এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিকবার তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজনৈতিক স্বার্থ বিজেপি সিবিআইকে ব্যবহার করছে বলেও বারংবার অভিযোগ করেছেন মমতা৷ এমনকি, সিবিআইয়ের দপ্তর ঘেরাও থেকে শুরু করে প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি৷ দীর্ঘদিন ধরে সিবিআইয়ের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও এভাবে স্বাধীন সংস্থার অভ্যন্তরের কঙ্কাল প্রকাশ্যে আসেনি কখনও৷ সিবিআইয়ের দুই আধিকারিকের দ্বন্দ্বও ছড়িয়ে পড়তে দেখেনি দেশ৷ ফলে, এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণ ছিল শুধুই সময়ের অপেক্ষা৷
[বিরোধী শিবিরে ধাক্কা, মহাজোটের জল্পনা উড়িয়ে দিলেন শরদ পাওয়ার]
সিবিআইয়ের গৃহযুদ্ধ ইস্যুতে যখন চাঙ্গা বিরোধী শিবির, ঠিক তখনই সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হল মোদি সরকার৷ দ্বন্দ্ব মেটাতে অন্তর্বর্তীকালীন সিবিআই প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হল IPS নাগেশ্বর রাওকে৷ এতদিন তিনি সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তার দায়িত্বে ছিলেন৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে অলোক ভার্মা ও রাকেশ আস্থানাকে৷ নতুন নির্দেশিকার পরই সিবিআইয়ের সদর দপ্তরের ১১ ও ১২ তলা সিল করে দেওয়া হয়েছে৷ ওই দুই তলাতেই অলোক ভার্মা এবং রাকেশ আস্থানার অফিস৷
The post সিবিআই এখন বিজেপি ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, বিতর্কের মধ্যেই তোপ মমতার appeared first on Sangbad Pratidin.